গরমের দিনে কেবল জলেই নয়, ফলেও রাখতে হবে ভরসা। ছবি: সংগৃহীত।
গরম মানেই শরীর চাইবে বেশি জল। জলীয় পদার্থ যেমন খেতে হবে বার বার, তেমনই খাবারেও রাখতে হবে জলের আধিক্য। তবেই শরীর ঠান্ডা থাকবে। গরমের মরসুমে শরীর সুস্থ রাখার একমাত্র দাওয়াই হল জল। এ সময়ে ভাজাভুজি, তেল-মশলাদার খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই ভাল। সঙ্গে স্বাস্থ্যরক্ষা করতে খেতে হবে বেশি করে ফল। শুধু ফল খেলেই হবে না, একটু বুদ্ধি খরচ করে এমন ফল খেতে হবে যাতে শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টিগুণের সঙ্গে জলও যেতে পারে। বসন্তকালে ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে এবং শরীরে জলের মাত্রা ঠিক রাখতে নিয়মিত কোন ফল খাওয়া যাবে, রইল হদিস।
তরমুজ: এই ফলের প্রায় ৯০ শতাংশ হল জল। অর্থাৎ, শরীরে জলের জোগান দিতে যথেষ্ট পরিমাণে তরমুজ খাওয়া যেতে পারে। এতে রয়েছে ভিটামিন সি। ক্যালোরির মাত্রাও কম। তাই তরমুজ খেলে ওজন বৃদ্ধির ভয়ও নেই। তা ছাড়া, ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্যও এই ফল ভাল।
আনারস: এই ফলে জলের মাত্রা ৮৬ শতাংশের কাছাকাছি। টক-মিষ্টি স্বাদের এই খাদ্যের মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি। বসন্তে ভাইরাল সংক্রমণ ঠেকাতে চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিচ্ছেন ভিটামিন সি খাওয়ার। গরমের সময় শরীর চাঙ্গা রাখতে নিয়ম করে এই ফল খাওয়াই যায়।
শসা: এই ফলে জলের মাত্রা ৯৫ শতাংশ। ফল হিসেবে কাঁচা খাওয়া যায়। আবার কেউ কেউ শসা দিয়ে নানা পদ রান্নাও করে ফেলেন। এই সময়ে শসার মতো খাবার কমই আছে। শরীর ঠান্ডা রাখে, পেট ভর্তি করে। ত্বকের জন্যও এই ফল দারুণ উপকারী।
গরমের মরসুমে শরীর সুস্থ রাখার দাওয়াই হল জল আর ফল।
কমলালেবু: শীতকালীন ফল হলেও এখনও বাজারে কমলালেবু ভালই চোখে পড়ছে। এই ফলেও প্রায় ৮৬ শতাংশ জল থাকে। ভিটামিন সি-তে ভরপুর এই ফল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ফাইবারেরও ভাল উৎস এই ফল। ওজন ঝরানোর ডায়েটেও এই ফল রাখা যেতে পারে।
ফুটি: এতে প্রায় ৯০ শতাংশ জল থাকে। মিষ্টি গন্ধে ভরা ফুটির পুষ্টিগুণ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় দারুণ কাজ দেয় এই ফল। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর ফুটির বীজ বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।