—প্রতীকী ছবি।
প্রতি বছরই বর্ষার পর মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ে পশ্চিমবঙ্গে। এ বছরেও তার অন্যথা হয়নি। সঙ্গে দোসর কোভিড। জেলার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। চিকিৎসকেরা বলছেন, দু’দিন ধরে ধুম জ্বর, মাথার যন্ত্রণা, সারা গায়ে ব্যথা এবং গায়ে র্যাশ থাকলে সাধারণ ভাবে তা ডেঙ্গির লক্ষণ বলেই ধরে নেওয়া হয়। তবে রক্ত পরীক্ষার প্রয়োজন অবশ্যই রয়েছে। ডেঙ্গি বা কোভিড, যা-ই হোক না কেন, জ্বর হলে শরীর ভীষণ ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। শরীরে জলের ঘাটতি দেখা যায়। রক্তে প্লেটলেটের মান অস্বাভাবিক হারে কমতে থাকে ডেঙ্গি হলে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, জ্বরের সময়ে তো বটেই, তার পরের বেশ কিছু দিন পর্যন্ত শরীরে বিভিন্ন রকম জটিলতা দেখা দিতে পারে। দুর্বলতা কাটতে অনেক সময় লাগে। তাই এই সময়ে খাওয়াদাওয়ার উপর বেশি করে নজর দিতে হয়। প্রোটিনজাতীয় খাবার বেশি করে খাওয়ার পাশাপাশি শরীরে বিভিন্ন খনিজের মাত্রায় যেন ঘাটতি না পড়ে, সে দিকেও নজর রাখা প্রয়োজন।
ডেঙ্গি থেকে সেরে উঠতে নিয়মিত কোন কোন খাবার খেতে হবে?
১) কাঠবাদাম
নানা রকম অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটে ভরপুর কাঠবাদাম শরীরের জন্য ভীষণ ভাবে উপকারী। ডেঙ্গির পর শরীর যথেষ্ট দুর্বল থাকে। সেই সময়ে শক্তির জোগান দিতে সাহায্য করে এই কাঠবাদাম। তা ছাড়া, ক্যালশিয়াম এবং ভিটামিন ডি-র ঘাটতি পূরণেও সাহায্য করে।
২) কলা
মানবদেহের বেশির ভাগটাই জল। তাই কোনও ভাবেই যেন জলে ঘাটতি না হয়, সে দিকে নজর রাখতে বলেন চিকিৎসকেরা। জল বা তরলজাতীয় খাবার খাওয়ার পাশিপাশি, কলা খেতে বলছেন পুষ্টিবিদেরা। এ ছাড়াও, রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখতে কলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
—প্রতীকী ছবি।
৩) ডাবের জল
ডেঙ্গি হলে শরীরে যে যে খনিজের ঘাটতি দেখা যায়, তার বেশির ভাগটাই পূরণ হয়ে যেতে পারে ডাবের জল খেলে। তবে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে শুধু ডাবের জল খেয়ে গেলেই যে কাজ হবে, এমন নয়। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
৪) পেঁপে
অনেকের ধারণা প্লেটলেটের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে বিশেষ কিছু খাবার খেয়ে। তবে চিকিৎসকেরা বলেন, এই ধারণার তেমন কোনও ভিত্তি নেই। বরং প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার জন্য নিয়মিত পাকা পেঁপে খাওয়া যেতেই পারে।
৫) বেদানা
প্রতিরোধ শক্তি এবং রক্তে লোহিত কণিকার পরিমাণ বাড়িয়ে তোলার জন্য খাওয়া যেতে পারে বেদানার রস। তবে অনেকেরই বেদানা বা ডালিম খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যায়। তাই যথাযথ প্রতিরোধ ব্যবস্থাও নিতে হবে।