ভীষণ গরমে আপনি কি হজমের সমস্যায় ভুগছেন? ছবি: সংগৃহীত।
অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ হলেও অফিস-রান্না-খাওয়া কিছুই তো বাদ দেওয়া যায় না। কাজের প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বেরোনো ছাড়া উপায়ও নেই। গুমোট গরমে প্যাচপেচে ঘামে অস্বস্তি যেন বেড়েই যাচ্ছে। এমন অবস্থায় কেউ হজমের সমস্যায় ভুগছেন, কেউ আবার অতিরিক্ত ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। এই সময় শরীর ঠান্ডা রাখতে চাইলে ডায়েটে কিছু খাবার অবশ্যই রাখতে হবে। কী কী খেলে গরমের সময় পেট ঠান্ডা থাকবে রইল তার হদিস।
১) দই: গরমকালে দইয়ের বিকল্প হয় না। গরমের সময় জলখাবারে দই-চিড়ে, বেরি দিয়ে ইয়োগার্ট বা দই দিয়ে ফলের স্মুদি খেতে পারেন। দুপুরে খাওয়ার পরে শেষ পাতে বাড়িতে পাতা টক দই খান। আবার দই ভাতও চলতে পারে। শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে দই। গ্রিক ইয়োগার্ট খেলে প্রোটিনও পাবেন অন্য পুষ্টির সঙ্গে। এ ছাড়া দইয়ের ঘোল, লস্যিও রাখতে পারেন রোজের খাদ্যতালিকায়।
২) পুদিনা: গরমের মরসুমে পেট ঠান্ডা রাখতে খেতে পারেন পুদিনাও। পুদিনার চাটনি করে পরোটার সঙ্গে খান। অথবা বিকেলে লস্যি বানালে, তাতে পুদিনা পাতা দিতে পারেন। যে কোনও শরবত পুদিনা দিয়ে খান। আবার সাধারণ জলে কয়েকটা পুদিনা পাতা আর লেবু ফেলে ডিটক্স ড্রিঙ্কও বানাতে পারেন। হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এই জল, পেটের জন্যেও স্বাস্থ্যকর।
শরীর ঠান্ডা রাখতে চাইলে ডায়েটে তরমুজ জাতীয় কিছু খাবার অবশ্যই রাখতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।
৩) লেবুর শরবত: রোদ থেকে ফিরে কিছু ক্ষণ বসে শরীরের তাপমাত্রা একটু মানিয়ে নেওয়ার সময় নিন। তার পরে লেবু আর বিটনুনের শরবত খেতে পারেন। রোদ থেকে ফিরে প্রাণ জুড়োবে। হজমশক্তির পাশাপাশি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়াবে এই শরবত।
৪) শসা: শসা যে কোনও মরসুমে খাওয়াই স্বাস্থ্যকর। কিন্তু বিশেষ করে গরমকালে শসার স্যালাড অবশ্যই খাওয়া উচিত। শরীর ঠান্ডা থাকবে, ডিহাইড্রেশন হবে না এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যেও কার্যকর।
৫) তরমুজ: গরমে বেশি করে তরমুজ খান। খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনই স্বাস্থ্যের পক্ষেও ভাল। তরমুজের শরবত, তরমুজের রস, তরমুজের স্যালাড— যেমন ইচ্ছে খান।