ফল উপকারী হলেও ফল খাওয়ার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। সেগুলি না মানলে ফল খেয়েও কোনও লাভ হবে না। ছবি- সংগৃহীত
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে জলখাবারে টোস্ট, ডিম সেদ্ধ বা ডিমের পোচ এবং কলা খাওয়া বহু দিনের অভ্যাস। অনেকে আবার দুধ, কর্নফ্লেক্সের সঙ্গেও বিভিন্ন রকম ফলের কুচি মিশিয়ে খেয়ে থাকেন। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলেই একবাক্যে ফলের উপকারিতার কথা স্বীকার করেন। ফলের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রকম ভিটামিন এবং খনিজ। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে। ফলে থাকা ফাইবার হজম ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে। ওজন ঝরানোর লক্ষ্যে যাঁরা ডায়েট মেনে খাবার খেয়ে থাকেন, তাঁদেরও খাবার তালিকায় ফল থাকা আবশ্যিক।
ত্বক, চুল থেকে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে ফলের বিকল্প নেই। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ফল উপকারী হলেও ফল খাওয়ার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। সেগুলি না মানলে ফল খেয়েও কোনও লাভ হবে না। আবার এমন কিছু ফল রয়েছে যা সকালে জলখাবারের সঙ্গে খাওয়া যায় না। কারণ ফলে থাকা ফ্রুক্টোজ় এবং বিভিন্ন প্রকার অ্যাসিড থেকে হিতে বিপরীত হতে পারে।
কোন কোন ফল সকালের জলখাবারে খাওয়া যায় না?
১) কলা
সকালে জলখাবারের সঙ্গে কলা না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদেরা। কারণ, কলায় কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ অনেক বেশি। সকালবেলা কার্বোহাইড্রেট বেশি খেলে তা পেটের জন্য সমস্যার হতে পারে।
২) নারকেল
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ইডলি খাবেন। সঙ্গে নারকেল এবং সাদা সর্ষে দেওয়া চাটনি। কিন্তু নারকেলের মতো উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত ফল সকালে না খাওয়ার পরামর্শই দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা।
৩) কমলালেবু
জলখাবার খাওয়ার পর এক গ্লাস ‘অরেঞ্জ জুস’ না খেলে যেন মন ভরে না। কিন্তু জানেন কি লেবুজাতীয় ফলে অ্যাসিডের পরিমাণ অনেক বেশি। শুধু অম্বল বা অ্যাসিডিটি নয়, এই অ্যাসিড দাঁতেরও যথেষ্ট ক্ষতি করে।
ফলের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রকম ভিটামিন এবং খনিজ। ছবি- সংগৃহীত
৪) তরমুজ
গরম থেকে মুক্তি পেতে বারে বারে ফ্রিজে থাকা তরমুজ খেতে ইচ্ছে করছে? খেতেই পারেন। কিন্তু ভুল করেও সকালে জলখাবারের সঙ্গে খেয়ে ফেলবেন না। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এই সময়ে তরমুজ খেলে যদিও শরীরের কোনও ক্ষতি হয় না। তবে জলখাবার খাওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যেই আবার খিদে পেয়ে যেতে পারে।
৫) আম
নারকেলের মতোই পাকা আমে ক্যালোরির পরিমাণ অনেকটা বেশি। এক কাপ পাকা আম থেকে প্রায় ১০০ গ্রাম ক্যালোরি পাওয়া যায়। এবং এতে শর্করার পরিমাণ প্রায় ২৩ গ্রাম। সকালে পাকা আম খেলে হজমের সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়।