বেশি চা খেলেও বিপদ? ছবি: সংগৃহীত।
রাত জেগে পড়াশোনা করার সময় সঙ্গে এক ফ্লাস্ক চা রাখেন, কিংবা টান টান উত্তেজনাপূর্ণ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের মাঝেও বার বার চায়ের কাপে চুমুক দিতে ইচ্ছে হয়। বেশ কয়েক বার চা না খেলে অফিসের কনকনে ঠান্ডায় বসে কাজ করতেও অসুবিধে হয়। একঘেয়েমি কাটাতে পানীয় হিসেবে চায়ের জুড়ি মেলা ভার। বিপাকহার বাড়িয়ে তোলার জন্যেও অনেকে বিশেষ কিছু চায়ের উপর ভারসা রাখেন। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলছেন, ঘন ঘন চা খাওয়ার এই প্রবণতা নানা রকম শারীরিক সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। এক কাপ চায়ে সাধারণত ২০ থেকে ৬০ মিলিগ্রাম ক্যাফিন থাকে। তাই প্রতি দিন তিন থেকে চার কাপের বেশি চা খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।
বেশি চা খেলে কী কী ক্ষতি হতে পারে?
১) ত্বকের ক্যানসার
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ত্বকের ক্যানসারের নেপথ্যে রয়েছে ঘন ঘন দুধ-চা খাওয়ার অভ্যাস। এই পানীয় খেলেই যে ক্যানসার হবে, এমন ধারণার বৈজ্ঞানিক কোনও ব্যাখ্যা না মিললেও ক্যানসারের ক্ষেত্রে অনুঘটক হিসেবে কাজ করে চা।
২) অ্যালার্জি
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, ঘন ঘন চা খেলে ত্বকে এগজ়িমা, ডার্মাটাইটিসের মতো সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। ফলে ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, ঘন ঘন র্যাশ বেরোনো কিংবা ব্রণের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
বেশি চা খেলে কী কী ক্ষতি হতে পারে? ছবি: সংগৃহীত।
৩) প্রদাহ
চায়ে আদা কিংবা ছোট এলাচ দিয়ে খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। এই দুই উপাদানের গুণে স্বাদে, গন্ধে অতুলনীয় হয়ে ওঠে চা। কিন্তু বার বার এই জাতীয় চা খেলে ত্বকে প্রদাহ বেড়ে যেতে পারে।
৪) কোলাজেনের মাত্রায় হেরফের
কোলাজেন এমন এক ধরনের প্রোটিন, যা ত্বকের টান টান ভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে। চায়ের মধ্যে থাকা ক্যাফিন এবং দুধ শরীরের প্রাকৃতিক কোলাজেনের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। ফলে অল্প বয়সেই ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে পারে।
৫) হরমোনের মাত্রায় হেরফের
অতিরিক্ত চা খাওয়ার প্রবণতা শরীরে নানা রকম হরমোন ক্ষরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। যার প্রভাব পড়ে ত্বকের উপর। ত্বকে সেবাম উৎপাদনের পরিমাণ বাড়িয়ে, মুখ ভরিয়ে তুলতে পারে ব্রণে।
এই প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশে লেখা। বিশদে জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।