— প্রতীকী চিত্র।
দিনে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা কাজ। বাড়ি ফিরে ক্লান্ত শরীরে অনলাইনে খাবার অর্ডার দেওয়া। রাত জেগে সিনেমা অথবা সিরিজ় দেখা আর সপ্তাহান্তে বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের মানুষগুলির সঙ্গে উদ্যাপন— এমনই জীবনধারায় অভ্যস্ত বেশির ভাগ মানুষ। শরীরচর্চার অভাব এবং অনিয়ন্ত্রনিত জীবনযাপনের প্রভাবে ইদানীং কম বয়সেই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বয়স ৩০ ছুঁতে না ছুঁতেই নিয়ম করে রোজ উচ্চ রক্তচাপ সামাল দেওয়ার ওষুধ খেতে হয় অনেককেই। তবে ওষুধের মাত্রা যদি কমিয়ে ফেলতে চান তা হলে নিয়মিত কিছু আসন করা জরুরি।
১) বালাসন
হাঁটু মুড়ে গোড়ালির উপর বসুন। এ বার শরীরটা এমন ভাবে বেঁকান, যাতে বুক উরুতে গিয়ে ঠেকে। মাথা গদির উপরে রেখে হাত দু’টি সামনের দিকে বাড়িয়ে দিন। এই আসন স্নায়ুতন্ত্রের জন্য যেমন খুব উপকারী। তেমন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে এই আসন।
২) সুখাসন
ম্যাটের উপর পা ছড়িয়ে সোজা হয়ে বসুন। এ বার ডান পা হাঁটু থেকে ভাঁজ করে বাঁ ঊরুর উপর এবং বাঁ পা হাঁটু থেকে ভাঁজ করে ডান ঊরুর উপর রাখুন। এর পর দুই হাঁটুর উপর দু’হাত টান টান করে রাখুন। এই অবস্থায় চোখ বন্ধ করে বসে স্বাভাবিক ছন্দে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। ২ থেকে ৩ মিনিট পর্যন্ত এই অবস্থায় থাকতে পারেন।
— প্রতীকী চিত্র।
৩) ভুজঙ্গাসন
পেট নীচের দিকে রেখে ম্যাটেপর উপর শুয়ে পড়ুন। হাত দুটো থাকবে কাঁধের দু’পাশে। তার পর শ্বাস টেনে কাঁধ ধীরে ধীরে মাটি থেকে তুলতে চেষ্টা করুন। এই অবস্থানে থাকুন ১০ সেকেন্ড। পারলে আরও বেশি ক্ষণ করতে পারেন। ৪ থেকে ৫ বার এই ভাবে অভ্যাস করুন।
৪) সেতুবন্ধনাসন
প্রথমে মাটিতে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাঁটু ভাঁজ করে পা দু’টো নিতম্বের কাছে রাখুন। এ বার ধীরে ধীরে মাটি থেকে কোমর তুলে ধরুন। এ বার দুই হাত টান টান করে, গোড়ালি স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। এই অবস্থায় ১০ সেকেন্ড থাকুন। ৪ থেকে ৫ বার এ ভাবে অভ্যাস করুন।
৫) বজ্রাসন
প্রথমে পিঠ টান টান করে হাঁটু মুড়ে পায়ের গোড়ালির উপর বসুন। পায়ের পাতা থেকে হাঁটু যেন মাটিতে ঠেকে থাকে। এ বার দু’টি হাত হাঁটুর উপর রাখুন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করুন। এই অবস্থায় থাকুন ১০ সেকেন্ড। ৪ থেকে ৫ বার এ ভাবে অভ্যাস করুন।