— প্রতীকী চিত্র।
প্রতি বছর কেক কেটে, পায়েস খেয়ে জন্মদিন পালন করেন। কিন্তু ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ুক, তা চান না কেউই। বয়সের এই লক্ষণগুলি যদি আবার উল্টো দিকের মানুষটির চোখে ধরা পড়ে, তা হলে তো কষ্টের অন্ত নেই। তৎক্ষণাৎ একগাদা প্রসাধনী কিনতে ছোটেন। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে যে সব উপাদান ব্যহার করা হয়, তার মধ্যে রেটিনল অন্যতম। এই রেটিনল ত্বককে সহজে বুড়িয়ে যেতে দেয় না। ফলে ত্বকে কালচে দাগ-ছোপ, বলিরেখা, চামড়া কুঁচকে যাওয়ার মতো লক্ষণগুলিকে ঠেকিয়ে রাখা যায়।
রেটিনল কী?
অনেকেই মনে করেন রেটিনল নামক অ্যাসিডটি সকলের ব্যবহারের জন্য নয়। নির্দিষ্ট বয়সের পর, চাইলে তা মুখে মাখা যায়। তবে ব্যবহার সম্পর্কে কিছু বিধি-নিষেধ অবশ্যই রয়েছে। যেমন অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মহিলাদের এই অ্যাসিডটি ব্যবহার করা নিয়ে অনেকের মনেই যথেষ্ট দোলাচল রয়েছে। অনেকেই মনে করেন, এই রেটিনল ব্যবহারে গর্ভস্থ ভ্রূণের ক্ষতি হতে পারে। আবার অনেকের ধারণা, মুখে বয়সের ছাপ না পড়লে নাকি রেটিনল ব্যবহার করা যায় না। দিনের বেলা রেটিনল ব্যবহার করা নিয়েও নানা রকম জনশ্রুতি রয়েছে। তবে এ কথা ঠিক যে, বয়স এবং ত্বকের ধরন অনুযায়ী রেটিনলের মাত্রা নির্ধারণ করতে হয় এবং তা পারেন বিশেষজ্ঞরাই। তাই তাঁদের পরামর্শ ছাড়া কখনওই এ ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা উচিত নয়। পাশাপাশি, রেটিনলের ব্যবহার নিয়ে ভুল ধারণা মনে পুষে রাখাও ঠিক নয়।
রেটিনল নিয়ে আর কী কী ধারণা প্রচলিত?
১) রেটিনল ত্বক পাতলা করে দেয়। এই ধারণা একেবারেই ভ্রান্ত। রেটিনল ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। ফলে ত্বক পাতলা হওয়ার কোনও আশঙ্কাই নেই।
২) অনেকেই মনে করেন, রেটিনল শুধুমাত্র বয়স্কদের ত্বকের যত্নে কাজে লাগে। তা-ও পুরোপুরি ঠিক নয়। ত্বকে বয়সের ছাপ দূর করার পাশাপাশি ব্রণ সারিয়ে তুলতেও বেশ কার্যকর।
৩) রেটিনলযুক্ত ক্রিম মাখলে মুখ জ্বালা করতেই পারে। কিন্তু তা ত্বকের ক্ষতির জন্য নয়। অ্যাসিডজাতীয় যে কোনও কিছু ত্বকের সংস্পর্শে এলে অস্বস্তি হওয়া স্বাভাবিক।
৪) অনেকেই পরামর্শ দেন, দিনের বেলা রেটিনল মেখে বাইরে না বেরোতে। কিন্তু সমস্যা শুধু তখনই হবে, যখন রেটিনল মাখার পর, সানস্ক্রিন না মেখে আপনি বাইরে বেরোবেন।
৫) অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কোনও কিছু ব্যবহার করার আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।