পাথরের আকার বড় হলে অস্ত্রোপচার ছাড়া গতি নেই। ছবি- সংগৃহীত
শরীরে জলের ঘাটতি যেন না হয় তা দেখা, মল-মূত্রজনিত কোনও সমস্যার প্রতি নজর রাখা এবং তলপেটে-কোমরে একটানা ব্যথা থাকলে তা নিয়ে সতর্ক থাকা— রোজকার জীবনে কিডনির খেয়াল রাখা বলতে এইটুকুই। কিন্তু তীব্র গরমে তেষ্টা থাকলেও জল খাওয়ার পরিমাণ অনেক সময়ই ঠিক থাকে না। তার উপর অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, তেল-মশলাযুক্ত খাবার কিডনি স্টোনের অন্যতম কারণ। পাথরের আকার বড় হলে অস্ত্রোপচার ছাড়া গতি নেই। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন পাথর ছোট হলে তা মূত্রের মাধ্যমেই বেরিয়ে যায় শরীর থেকে। কিন্তু পাথর যাতে না হয়, তার জন্য কী করবেন?
১) পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে
জল যত বেশি খাবেন, আকারে ছোট হলে পাথর তত তাড়াতাড়ি মূত্রের সঙ্গে বেরিয়ে যাবে। যিনি দিনে ১ গ্লাস জল খান আর যিনি ২৫ গ্লাস জল খান দু’জনের মধ্যে দ্বিতীয় জনের ‘কোয়ান্টাম অফ ইউরিন প্রোডাকশন’ বেশি। ফলে মূত্রের বেগও বেশি। তাতেই ছোট স্টোন (১-২ মিলিমিটার) শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে পারে।
২) পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন খেতে হবে
প্রোটিন বলতে প্রথমেই মাথায় আসে মাছ, মাংস, ডিমের কথা। তবে চিকিৎসকদের মতে, এ ক্ষেত্রে উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের উপর ভরসা রাখাই ভাল।
৩) নুন খাওয়া কমাতে হবে
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গেলে নুন খাওয়া কমাতে হবে। অর্থাৎ কমাতে হবে সোডিয়াম গ্রহণের পরিমাণ। এ ক্ষেত্রে বাইরের খাবার, প্যাকেটজাত খাবারে লাগাম টানা অত্যন্ত জরুরি।
৪) ক্যালশিয়াম জরুরি
শুধু হাড়ের জন্য নয়, কিডনির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হল ক্যালশিয়াম। শরীরে যদি পর্যাপ্ত ক্যালশিয়াম থাকে, তা হলে কিডনিতে পাথর হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে বাইরে থেকে ক্যালশিয়াম ওষুধ না খেয়ে ভরসা রাখতে পারেন দুধ, পনিরের উপর।
৫) অক্সালেটযুক্ত খাবার খেতে হবে
পালং, বিট, বাদামের মতো খাবারে অক্সালেটের পরিমাণ বেশি। তাই এই খাবারগুলি বেশি করে খেতে বলেন চিকিৎসকেরা। পাশাপাশি লেবু, কমলালেবু, আঙুর, ব্লু-বেরি বা এই জাতীয় সাইট্রিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ ফল খাওয়া যেতে পারে।