অর্শের সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন কী করে? ছবি: শাটারস্টক
ছোট-বড়, নারী-পুরুষ, অর্শের সমস্যা সকলেরই হতে পারে। পরিবারের কারও অর্শ থাকলে পরবর্তী প্রজন্মের ক্ষেত্রে এই রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে আরও বাড়ে সমস্যা। শুরুতেই সতর্ক হলে রোগ বাড়তে পারে না। কিন্তু বিষয়টি এমনই যে, বহু ক্ষেত্রেই সঙ্কোচবশত অসুখ গোপন করেন রোগী। রোগ বেড়ে গেলে অস্ত্রোপচার করা ছাড়া কোনও উপায় নেই। কিন্তু অল্প থাকলে, জীবনযাপনে বদল আনলেই প্রতিরোধ করা যায় রোগটি।
কী ভাবে অর্শের সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন?
১) রোজের ডায়েটে বেশি করে শাকসব্জি রাখুন। সব্জি মানে কিন্তু কেবল আলু-পেঁয়াজ নয়। মরসুমি সব্জি খেতে হবে নিয়ম করে। কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে খুবই উপযোগী ঢ্যাঁড়শ। পাশাপাশি, ফাইবার বেশি আছে এমন খাবারও খেতে হবে নিয়মিত। পালং, নটের মতো শাক রাখুন দুপুরের খাবারে। পটল, শসা খোসাসমেত খাওয়ার চেষ্টা করুন।
২) অফিস ডেস্কে একটানা এক জায়গায় বসে কাজ করলেও অর্শের সমস্যা বাড়ে। তাই এ দিক-ও দিক চলাফেরা করা বা কায়িক পরিশ্রম করা জরুরি। খাবার খাওয়ার পর রোজ নিয়ম করে ৩০ মিনিট হাঁটুন। দিনে অন্তত আধ ঘণ্টা সময় শরীরচর্চার জন্য বার করুন।
অর্শের সমস্যা থাকলে রেড মিট থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। ছবি: সংগৃহীত।
৩) খাদ্যতালিকায় প্রায়শই পাঁঠা কিংবা খাসির মাংস থাকে? অর্শের সমস্যা থাকলে রেড মিট থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। মাংসে ভরপুর প্রোটিন থাকলেও ফাইবার থাকে কম। আর ফাইবার কম থাকলেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ে।
৪) অর্শ থাকলে জল খেতে হবে বেশি করে। জল কম খেলে মলত্যাগের সময়ে সমস্যা বেশি হয়। দিনে অন্তত ৩ থেকে ৪ লিটার জল খাওয়া চাই-ই চাই।
৫) অর্শ কমাতে রোজ পেট পরিষ্কার করতে হবে। সেই কাজে সাহায্য করতে পারে ইসবগুল। অনেকেই রাতে শুতে যাওয়ার আগে তা জলে গুলে খেয়ে নেন। সকালে পেট পরিষ্কার হয়ে যায়। ইসবগুল খাওয়ার জন্য সাধারণত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয় না। তবে ঝুঁকি না নিয়ে চিকিৎসককে দেখিয়ে নিতে পারেন।