Walking after Meal

সকাল হোক বা রাত, খাওয়ার পর মাত্র মিনিট দশেক হাঁটলেই রোগবালাই হবে কুপোকাত

প্রতি বার খাবার খাওয়ার পর অন্তত মিনিট দশেক হাঁটাচলা করলেই জীবনধারার সঙ্গে যুক্ত রোগগুলিকে বশে রাখা যায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২৪ ১৮:৫৮
Share:

খাওয়ার পর মিনিট দশেক হাঁটার অভ্যাসে কী কী বদলে যেতে পারে? ছবি: সংগৃহীত।

সকালে ঘুম থেকে উঠে যদিও বা একটু হাঁটতে পারেন, রাতে বাড়ি ফিরে তা একেবারেই সম্ভব নয়। সারা দিনের খাটনির পর বিছানায় শরীরটা এলিয়ে দেওয়ার চেয়ে ভাল কিছু নেই বলেই মনে হয়। খাবার খেয়েই দুম করে বিছানায় শুয়ে পড়া যে ভাল নয়, তা জানা থাকলেও।

Advertisement

ব্যস্ততার জন্য দিনের অন্যান্য সময়েও শরীরচর্চা করা হয় না। চিকিৎসকেরা বলছেন, আর এই ভুলেই উচ্চ রক্তচাপ, শর্করা, মেদ, মানসিক চাপের মতো নানা রকম রোগ একেবারে জাঁকিয়ে বসে।

দুপুর হোক বা রাত, প্রতি বার খাবার খাওয়ার পর অন্তত মিনিট দশেক হাঁটাচলা করলেই জীবনধারার সঙ্গে যুক্ত রোগগুলিকে বশে রাখা যায়। খাওয়ার পর মিনিট দশেক হাঁটার অভ্যাসে কী কী বদলে যেতে পারে?

Advertisement

১. বাড়ির খাবার খেয়েও হজমের সমস্যা হয়? খাওয়ার পর মিনিট দশেক হাঁটাহাঁটি করলে এই উপদ্রব আর থাকবে না। পাশাপাশি পেটফাঁপা, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও বশে থাকবে।

২. ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ, উৎপাদন এবং কার্যকারিতা সঠিক না হলে রক্তে শর্করা বেড়ে বা কমে যেতে পারে। এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করতে হবে। তাতে ‘ইনসুলিন সেনসিটিভিটি’ ভাল হয়।

প্রতি বার খাবার খাওয়ার পর মিনিট দশেক হাঁটাহাঁটি করলে শরীরে মেদ জমার প্রবণতা কমে। ছবি: সংগৃহীত।

৩. ওজন ঝরাতে গেলে ক্যালোরি ক্ষয় করতে হবে। প্রতি বার খাবার খাওয়ার পর মিনিট দশেক হাঁটাহাঁটি করলে শরীরে মেদ জমার প্রবণতা কমে।

৪. মন-মেজাজ ভাল রাখতে হলে এন্ডরফিন হরমোনের মাত্রা সঠিক হওয়া প্রয়োজন। হাঁটাহাঁটি করলে এই হরমোন সঠিক মাত্রায় নিঃসৃত হতে পারে। যা মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

৫. খাবার খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করলে বিপাকক্রিয়া ভাল হয়। ফলে বিপাকহারজনিত সমস্যাগুলি নিয়ন্ত্রণে থাকে। পরোক্ষ ভাবে তা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement