বহু যুগ আগে থেকেই দাঁতনের জন্য নিমের ডাল ব্যবহার করা হয়। —ফাইল চিত্র
গ্রামবাংলায় আজও সকালে ব্রাশের বদলে মুখে নিম ডাল নিয়ে ঘুরতে দেখা যায় অনেককে। বিষয়টিকে অনেকেই সংস্কার মনে করলেও এই দাঁতন কিন্তু আদৌ অবৈজ্ঞানিক নয়। বেশ কিছু রোগ-জীবাণুর প্রকোপ কমাতে কাজে আসতে পারে নিম। শুধু দাঁতের স্বাস্থ্যরক্ষাই নয়, নিমের গুণ বহুবিধ।
১) ত্বক ভাল রাখতে
নিম তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই এবং ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এই উপাদানগুলি ত্বক এবং চুলের জন্য খুবই উপকারী। নিমপাতা ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক (ফাঙ্গাস) কমাতেও সহায়তা করে। তাই ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের আক্রমণের হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করতে কাজে আসে নিমপাতা। ব্রণের সমস্যা থেকে দ্রুত নিস্তার পেতে নিমপাতা বেটে লাগাতে পারেন।
২) দুর্গন্ধ কমাতে
বহু যুগ আগে থেকেই দাঁতনের জন্য নিমের ডাল ব্যবহার করা হয়। কারণ মুখগহ্বরের স্বাস্থ্যরক্ষা করতে ও মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে কাজে আসে নিম। দাঁতের ফাঁকে জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ রোধ করতেও নিম বেশ কার্যকরী। শুধু দাঁত নয়, গায়ে ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতেও নিমপাতার রস খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। স্নানের সময় বালতিতে নিম পাতার রস মিশিয়ে স্নান করতে পারেন।
৩) ক্ষতস্থানে
কেটে-ছড়ে গেলে বা পুড়ে গেলে ক্ষতস্থানে নিম পাতার রস ভেষজ ওষুধের কাজ করে। ত্বকের যে কোনও চুলকানির সমস্যায় নিমপাতা বেটে লাগাতে পারলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়। তবে বাটার আগে ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে নিমপাতাগুলি।
শরীর সুস্থ-সতেজ ও রোগমুক্ত রাখতে নিমপাতার রস খুবই কার্যকরী বলে মনে করেন অনেকে। —ফাইল চিত্র
৪) পেটের সমস্যা কমাতে
নিয়মিত সামান্য পরিমাণে নিমপাতা খেতে পারলে কোষ্ঠকাঠিন্য-সহ লিভারের নানা সমস্যা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে। এরই সঙ্গে রক্ত পরিশুদ্ধ করতে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত, ক্ষতিকর উপাদান বের করে শরীর সুস্থ-সতেজ ও রোগমুক্ত রাখতে নিমপাতার রস খুবই কার্যকরী বলে মনে করেন অনেকে।
৫) ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে
নিয়মিত নিমপাতার সঙ্গে কাঁচা হলুদ ভাল করে বেটে মেখে দেখুন। ফিরতে পারে ত্বকের উজ্জ্বলতা। তবে খেয়াল রাখতে হবে, মিশ্রণে নিমপাতার চেয়ে হলুদের পরিমাণ যেন কম থাকে। হলুদ ব্যবহার করার পর কয়েক ঘণ্টা রোদ এড়িয়ে চলাই ভাল।