কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকেও মুক্তি পেতে চান? ছবি: সংগৃহীত।
হাড়ের ক্ষয় রুখতে পুষ্টিবিদরা ডায়েটে কিন্তু দুধ আর ঘি রাখার কথা বার বারই বলেন। এ ছাড়াও ঘি এবং গরুর দুধ পৃথক ভাবে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা সকলেই ওয়াকিবহাল। জানেন কি দুধের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খাওয়া কত উপকারী? শুনতে অবাক লাগছে তো? আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বলা হয়, দুধের সঙ্গে ঘি খাওয়া হলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। রাতে ঘি-সহ দুধ খেলে সুফল মেলে আরও বেশি।
দুধের সঙ্গে ঘি খাওয়া হলে সবচেয়ে ভীষণ উপকারী। ছবি: সংগৃহীত।
কী কী উপকার পেতে পারেন?
১) ঘি মেশানো দুধ হজমে সাহায্যকারী এনজাইমের নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে। বিপাকক্রিয়ার হার বেড়ে যায় এবং পাচনতন্ত্রকেও শক্তিশালী করে। অন্ত্রের টক্সিন পদার্থ পরিষ্কার করে। দুধের সঙ্গে ঘিয়ের মিশ্রণ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে।
২) গাঁটের ব্যথা কমাতে বেশ উপকারী এই পানীয়। ঘি-তে থাকা ভিটামিন কে-২ হাড়কে দুধের ক্যালশিয়াম শোষণ করতে সাহায্য করে। ফলে হাড় শক্তিশালী হয়। বয়স হলে নিয়মিত এই পানীয় খাওয়া যেতে পারে।
৩) মানসিক চাপের কারণে অনেকের রাতের পর রাত ঘুম হয় না। ঘি মেশানো এক কাপ দুধ আপনার স্নায়ুকে শান্ত করে, ফলে চটজলদি ঘুম আসে। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতেও এই পানীয় বেশ উপকারী।
৪) ঘি এবং দুধ উভয়ই প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। ত্বক উজ্জ্বল করতে দুই উপাদানেরই জুড়ি নেই। দূষণ এবং মানসিক ক্লান্তির কারণে অনেক সময় ত্বক নিস্তেজ দেখায়। রাতে দুধ এবং ঘি খেলে তা ত্বকের আর্দ্রতা বাড়ায়। জেল্লা ফিরিয়ে আনতেও সাহায্য করে।
৫) নিয়মিত ঘি-সহ দুধ খাওয়া যৌনজীবনের পক্ষেও ভাল। এটি বীর্য উৎপাদনের সঙ্গে যৌনশক্তি বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
কী ভাবে বানাবেন ঘি আর দুধের মিশ্রণ?
একটি পাত্রে এক চামচ ঘি গরম করুন। এর পর এক কাপ দুধ দিয়ে মিশ্রণটি ভাল করে মিশিয়ে নিন। স্বাদ বাড়াতে কেশর ও সামান্য মধুও দিতে পারেন। সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন খেলেও উপকার পাবেন।