ছবি: সংগৃহীত।
পুষ্টিগুণের দিক থেকে পেয়ারা কত উপকারী, সে কথা কম-বেশি সকলেই জানেন। কিন্তু গুণের দিক থেকে পেয়ারা পাতাও কম যায় না। দাঁতে ব্যথা হলে অনেক সময়েই পেয়ারা পাতা চিবোতে বলতেন ঠাকুরমা-দিদিমারা। মাউথওয়াশের বিকল্প হিসাবে দারুণ কাজ করে পেয়ারা পাতা ফোটানো জল। মুখগহ্বরে ব্যাক্টেরিয়াজনিত সংক্রমণ হলে, তা-ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এই পাতা। পেয়ারা পাতার কিন্তু আরও অনেক গুণ আছে। জানেন সেগুলি কী?
১) হজমে সহায়তা করে
হজমের গোলমাল কিংবা বাচ্চাদের ডায়েরিয়া হলে ঘরোয়া পথ্য হিসেবে পেয়ারা পাতা ফোটানো জল খাওয়া যেতে পারে। কচি পেয়ারা পাতা চিবিয়ে খেলেও একই কাজ করে।
২) রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে
পেয়ারা পাতায় উপস্থিত ফেনোলিক, অতিরিক্ত শর্করা শোষণ করতে দেয় না। তাই ডায়াবিটিস রোগীরা এই পাতা চিবিয়ে খেলে ক্ষতি হবে না।
৩) ওজন নিয়ন্ত্রণ করে
পেয়ারা পাতায় ফাইবারের পরিমাণ বেশি। এই ফাইবার অন্ত্রের কর্মকাণ্ড সচল রাখতে সাহায্য করে। ফলে বিপাকহার উন্নত হয়। বিপাকহার ভাল হলে মেদ ঝরে তাড়াতাড়ি।
৪) নতুন চুল গজাতে
চুল ঝরে পড়ার হার কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না? চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে পেয়ারা পাতা। পেয়ারা পাতা ফোটানো জল দিয়ে নিয়মিত মাথা ধুলে, চুলের ফলিকল পুষ্টি পায়। নতুন চুলও গজায়।
৫) ত্বকের যত্নে
পেয়ারা পাতায় রয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। যা ত্বকের যত্নেও বেশ কার্যকর। ত্বকের জেল্লা ফিরিয়ে আনতে এবং কালচে দাগছোপ দূর করতেও সাহায্য করে পেয়ারা পাতা।