আমাদের শরীরের মাংসপেশি আরও শক্তিশালী করে তোলার পিছনে শরীরচর্চা একটি বড় ভূমিকা পালন করে
শীত এলেই বাঙালির আলসেমি বাড়ে। অন্য সময় যাঁরা একটু কষ্ট করে হলেও সকালে লেকের ধারে বা ময়দানে হাঁটাহাটি করেন, তাঁরা একটু ঠান্ডা পড়তেই কম্বলের বাইরে বেরোতে চান না। এক দিকে শরীরচর্চা যেমন বন্ধ, অন্য দিকে সন্ধে নামতেই মদ্যপানের ব্যবস্থা। তার উপর শীতকালে তো কেক-পাই-পিঠে লেগেই আছে। লোকে এই সময়ে আহ্লাদ করে রেড মিটও খান বেশি। সব মিলিয়ে শরীরের যথেষ্ট ক্ষতি হয়। তাই শীতে অন্য মরসুমের চেয়ে আরও বেশি করে শরীরচর্চা চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। আপনি যদি নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, তা হলে রুটিনের বাইরে গিয়ে কয়েক দিন বিরতি দিতেই পারেন। কিন্তু যদি বহু দিন বাদ পড়ে যায়, বিশেষ করে মাস খানেকের বেশি, তা হলে শরীরের অনেক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
দুর্বল হৃদ্যন্ত্র
নিয়মিত শরীরচর্চা করলে হৃদ্যন্ত্র সচল থাকে। রক্ত চলাচলও ভাল হয়। শরীরচর্চা করলে হৃদ্রোগের আশঙ্কা কমে। তবে শারীরিক পরিশ্রম যত কম করবেন, নিত্য দিনের কাজ করতে গিয়ে বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। আপনার হৃদ্যন্ত্রও ঠিক করে কাজ করা বন্ধ করে দেবে ধীরে ধীরে। সহজেই হাঁপিয়ে যাবেন। কোলেস্টেরলের মাত্রা বে়ড়ে যেতে পারে। হৃদ্স্পন্দনও অস্বাভাবিক হয়ে পড়বে।
শীতে অন্য মরসুমের চেয়ে আরও বেশি করে শরীরচর্চা চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন
দুর্বল মাংসপেশি
আমাদের শরীরের মাংসপেশি আরও শক্তিশালী করে তোলার পিছনে শরীরচর্চা একটি বড় ভূমিকা পালন করে। দীর্ঘ দিন তা বন্ধ রাখলে মাংসপেশিগুলি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়বে। এতে শারীরিক দুর্বলতাও অনেক বেড়ে যাবে। সামান্য ভারী জিনিস তুলতেও কষ্ট হতে পারে।
ঘুমের সমস্যা
অনেকেই বিশ্বাস করতে চান না, একটানা ভাল ঘুমের জন্য শরীরচর্চা কতটা জরুরি। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে শরীরে এনার্জির অভাব হবে না। সারা দিন আরও স্ফূর্তিতে কাজ করতে পারবেন। এবং রাতেও নির্বিগ্নে ঘুমোতে পারবেন।
রক্তে শর্করার মাত্রা
দীর্ঘ দিন শারীরিক পরিশ্রম না করলে রক্তে শর্করার মাত্রা হেরফের হয়ে যেতে পারে। এতে টাইপ টু ডায়াবিটিসের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। শরীরচর্চা অভাবে কার্বোহাইড্রেট হজম করতে সমস্যা হয় শরীরের। তাই রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়।