ছবি: সংগৃহীত।
বয়স বাড়লে শারীরিক সক্ষমতা কমতে থাকে। কম বয়সের জোর আর তখন থাকে না। সহজেই ভেঙে পড়ে শরীর। এ দিক থেকে মহিলারা খানিক এগিয়ে। কারণ মহিলাদের শরীর দ্রুত ভাঙে। বয়স প্রৌঢ়ত্বের কোঠায় পৌঁছনোর মুখে নানা শারীরিক সমস্যা জাঁকিয়ে বসে। তবে নারী এবং পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই পঞ্চাশের পর শরীরের প্রতি বাড়তি যত্ন জরুরি। প্রতিরোধ ক্ষমতা এই বয়সে একেবারে কমে যায়। ফলে যে কোনও রোগবালাই খুব সহজেই আক্রমণ করে। তবে চাইলে ৫০-এও যথেষ্ট ফিট থাকা যায়। তবে তার জন্য দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে জুড়ে নিতে হবে কিছু নিয়ম। তবেই বয়স বাড়লে সুস্থ থাকা সহজ হবে।
সময় নিয়ে খাওয়া
সকালে অফিসে আসার আগে তাহাহুড়ো থাকলেও চিন্তা থাকে না। ফলে জলখাবারে যা-ই থাক, শান্ত হয়ে বসে খাওয়া যায়। আবার অফিস থেকে রাতে বাড়ি ফিরেও ধীরেসুস্থে খাওয়া যায়। কিন্তু অফিসে থাকলে দুপুরের খাবার নাকেমুখে গুঁজতে হয়। অনেক সময় দুপুরের খাবার খেতে খেতে সেই বিকেল পেরিয়ে যায়। এই অভ্যাস একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। সকাল এবং রাতের মতো দুপুরের খাবারও ঘড়ি ধরে খাওয়া জরুরি।
হাঁটাচলা করা
শুধু সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম কিংবা হাঁটহাঁটি করলে চলবে না। দুপুরেও খাবার খাওয়ার পর একটু হাঁটাহাঁটি করা জরুরি। দুপুরে সাধারণত ভারী খাবারই খাওয়া হয়। ভাত কিংবা রুটি, দুপুরের খাবারে যা-ই থাক খাওয়ার পরে পাঁচ মিনিটের জন্য হলেও হাঁটা জরুরি।
ঘুম
অফিসে বসে ঘুমোচ্ছেন, এ দৃশ্য বিরল। কিন্তু সুস্থ থাকতে নিজের জন্য এটুকু করা জরুরি। তার মানে এই নয় যে, কাজ ফেলে রেখে দীর্ঘ ক্ষণ ঘুমোতে হবে। মাথায় চিন্তা থাকলে ঘুম আসেও না। ল্যাপটপ বন্ধ করে মাথা নিচু করে কিছু ক্ষণ বসতে পারেন। দরকার হলে একটি নির্দিষ্ট সময় পরে অ্যালার্ম দিয়ে রাখতে পারেন। কিছু ক্ষণ একটু ঘুমিয়ে নিলে মন এবং মস্তিষ্ক দুটোই শান্ত হবে। শরীরও ভাল থাকবে।