আমপাতায় লুকিয়ে ওষুধ ছবি: সংগৃহীত।
‘আম পাতা জোড়া জোড়া, মারবে চাবুক চলবে ঘোড়া’— ছোটবেলায় এই ছড়া জিভের গোড়ায় লেগে থাকত। ছড়ার এই লাইনটি আও়ড়ানোর সময় আমপাতা যতটা মহার্ঘ বলে মনে হত, বড় হওয়ার পর সেই ভুল ভেঙেছে। পাতার চেয়ে আমের দর যে শতগুণে বেশি, তা মর্মে মর্মে গেঁথে গিয়েছে। আমপাতার ব্যবহার শুধু পুজোর ঘটেই আটকে রয়েছে। অথচ এই পাতা যে বহু শারীরিক সমস্যার দাওয়াই হয়ে উঠতে পারে, তা অনেকেরই অজানা। আমের মরসুম শেষ। আমের স্বাদে হারিয়ে যেতে না পারলেও সুস্থ থাকতে ভরসা রাখতে পারেন পাতার উপর। আমপাতায় রয়েছে ভিটামিন সি, ফাইবার, পেকটিনের মতো উপাদান, যা নানাবিধ শারীরিক সমস্যা দূরে রাখে।
১) হার্টের রোগের ক্ষেত্রে আমপাতা বেশ উপকারী। কারণ আমপাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মতো উপাদান, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল যাতে না বাড়ে, সে দিকেও খেয়াল রাখে আমপাতা। কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে বলে হার্টও ভাল থাকে।
২) আম খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। তবে এই ফলের পাতা বরং রোগা হতে সাহায্য করে। আমপাতা শরীরের বাড়তি মেদ ঝরিয়ে দেয়। ডায়েটে যদি আমপাতা ফুটিয়ে সেই জল খেতে পারেন, তা হলে রোগা হওয়া সহজ হবে।
৩) শ্বাসের সমস্যা থাকলেও আমপাতা উপকারী। অ্যাজ়মা, ব্রঙ্কাইটিসের রোগীরা আমপাতা ফোটানো জল খেতে পারেন। গলার সংক্রমণ দূর করতেও এই পানীয় দারুণ কার্যকরী।
৪) হজমের গোলমাল ঠেকাতেও আমপাতার জুড়ি মেলা ভার। কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা, ডায়েরিয়ার মতো শারীরিক সমস্যা প্রতিরোধে আমপাতা অনিবার্য। এই পাতা শরীরে এমন এক উৎসেচক উৎপন্ন করে, যা হজমের সমস্যা কমাতে সহায়তা করে।
৫) শুধু শরীর নয়, ত্বকের জন্যেও আমপাতার ব্যবহার ফলদায়ক। ব্রণ, র্যাশ, চুলকানির সহ ত্বক সংক্রান্ত অনেক সমস্যার চটজলদি সমাধান লুকিয়ে আছে এই পাতায়।