কোন অভ্যাস রপ্ত করলে খুদের বুদ্ধি বাড়বেই, স্মৃতিশক্তিও হবে মজবুত? ছবি: শাটারস্টক।
সকলেই চান তাঁর সন্তান তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন ও মেধাবী হোক। তাই শিশুর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হওয়ার পাশাপাশি তার মগজাস্ত্রেও শান দেওয়া জরুরি। সাধারণত পাঁচ বছর বয়সের মধ্যেই শিশুর মস্তিষ্কের প্রায় সার্বিক গঠন ও বিকাশ সম্পন্ন হয়। এই বয়সে কিছু সাধারণ পন্থা অবলম্বন করলেই আপনার শিশুর বুদ্ধির বিকাশ দ্রুত হতে পারে।
১) করোনাকালে শিশুদের শিক্ষার জন্য কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্টফোনের মতো বৈদ্যুতিন সামগ্রীর উপর নির্ভরতা আগের তুলনায় বহু গুণ বেড়ে গিয়েছে। এ ক্ষেত্রে তাদের মধ্যেই বই পড়ার প্রবণতা কমে যাচ্ছে। এমনটা হতে দেবেন না। বই পড়ার অভ্যাস কিন্তু স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য ভীষণ জরুরি। পড়ার বইয়ের পাশাপাশি গল্প ও ছড়ার বই পড়ার প্রতি খুদেদের উৎসাহী করে তুলুন। এই উপায়ে তাদের জ্ঞানের পরিধি বাড়বে। বুদ্ধিরও বিকাশ হবে। গল্পগুলি মনে মনে ভাবতে বলুন।
২) সন্তানের সঙ্গে কথা বলার সময় বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করতে পারেন। অনেক শিশুর মধ্যেই অঙ্গভঙ্গি নকল করার প্রবণতা থাকে। এই উপায়ে শিশুদের স্মৃতিশক্তি ভাল হয় বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
বই পড়ার অভ্যাস কিন্তু স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য ভীষণ জরুরি।
৩) নিজের ছেলেবেলার নানা ঘটনা খুদেদের সঙ্গে গল্পের মতো করে ভাগ করে নিন। তার পরে সেই সব গল্প থেকেই তাদের মজার মজার প্রশ্ন করুন। এতেও তাঁদের স্মৃতিশক্তি বাড়বে। মেমরি গেম খেলাও শিশুদের বুদ্ধির বিকাশে সহায়ক হতে পারে। এতে শিশুদের একাগ্রতা বাড়ে।
৪) শিশুর বুদ্ধির বিকাশে সহায়তা করতে পারে গান। ছোটদের মনোযোগ বাড়াতেও গান শেখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি, বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের চর্চা করাও ভাল। এতে বুদ্ধিও বাড়ে, মনও ভাল থাকে।
৫) অনলাইন গেম নয়, যেই খেলায় মগজ খরচ করতে হয়, এমন খেলায় উৎসাহী করে তুলুন তাদের। দাবা, কার্ড গেমের মতো জিনিসে মনোযোগ বাড়বে, বুদ্ধিও তীক্ষ্ণ হবে।