বিশেষজ্ঞদের মতে, পেটের চর্বি কমানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায়গুলির মধ্যে অন্যতম হল নিয়মিত অ্যারোবিক ব্যায়াম করা।
ওজন কমানো আসলে একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। রাতারাতি ওজন কমানোর কোনও সহজ পন্থা নেই। নিয়মিত শরীরচর্চা, খাওয়াদাওয়ায় বিধি-নিষেধ মেনে চলা ছাড়াও আরও অনেক কিছু করতে হয়। তবুও সব সময়ে ওজন ঝরানো সম্ভব হয় না। তবে সঠিক উপায় জানলে অনেক কিছুই করা যেতে পারে।
এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা শরীরচর্চা করতে মোটেই পছন্দ করেন না। বার বার জিমে ভর্তি হলেও দিন দুয়েক করেই হাল ছেড়ে দেন অনেকে। আপনারও কি ব্যায়ামে অরুচি? অথচ বাড়তি ওজন চিন্তায় ফেলেছে!
চিন্তার কোনও কারণ নেই। সরাসরি শরীরচর্চা না করেও ২১ দিনেই কমিয়ে ফেলতে পারেন প্রায় ৫ কেজি ওজন।
কী ভাবে কমাবেন?
বিশেষজ্ঞদের মতে, পেটের চর্বি কমানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায়গুলির মধ্যে অন্যতম হল নিয়মিত অ্যারোবিক ব্যায়াম করা। অ্যারোবিক ব্যায়ামের মধ্যে আপনি চাইলে হাঁটাও বেছে নিতেই পারেন। ১.৬ কিলোমিটার হাঁটলে প্রায় ১০০ ক্যালোরি খরচ হয়।
খুচরো হাঁটায় শরীরের অঙ্গ-প্রতঙ্গগুলি সচল থাকবে। তবে এতে খুব একটা মেদ ঝরে না। মেদ ঝরাতে গেলে কিছু নিয়ম মেনে হাঁটাতেই মিলবে উপকার। কী কী সে নিয়ম?
১) নিয়মের সঙ্গে জেনে রাখা দরকার হাঁটার সময়ও। সপ্তাহে হাঁটতে হবে অন্তত ২৫০ মিনিট। গড় হিসাবে কম করে ৩৫ মিনিটের একটু বেশি। এটুকু হাঁটা শরীরের শুধু মেদ ঝরাবে তা-ই নয়, এই দীর্ঘ ক্ষণ হাঁটা হার্টের অসুখ ভাল করে। কোলেস্টেরল কমায়।
প্রতীকী ছবি।
২) হাঁটাহাঁটির অভ্যাস না থাকলে প্রথম দিকে এক সেকেন্ডে একটা স্টেপ, এই অঙ্কেই হাঁটতে হবে। তার পর হাঁটার অভ্যাস হলে সেকেন্ডে দু’টি স্টেপের হিসাবে হাঁটতে হবে। আর অবশ্যই হাঁটতে হবে একটানা রাস্তা ধরে। বার বার থমকে, ঘন ঘন দিক বদলে হাঁটার চেয়ে টানা হাঁটায় উপকার বেশি। তাই বাড়ির ছাদে বা লনে নয়, রাস্তা ধরে হাঁটলেই ফল পাবেন দ্রুত।
৩) দল বেঁধে হাঁটতে বেরোবেন না। অনেকেই গল্প করতে করতে হাঁটেন। কথা না বললেও দলছুট হয়ে যাওয়ায় অনেকে হাঁটার গতি কমিয়ে ফেলেন। এই অভ্যাসগুলি কিন্তু মেদ কমানোর পথে বাধা হতে পারে। মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতেও হাঁটবেন না। এতে অল্পতেই হাঁপ ধরে ফলে বেশি দূর হাঁটা যায় না।