ক্লান্তি হতেই পারে কোনও জটিল রোগের উপসর্গ । ছবি: শাটারস্টক।
ঘুমের আগে ক্লান্তি। ঘুম থেকে উঠেও ক্লান্তি। সারা দিনই যেন জোর করে নিজেকে ঠেলে নিয়ে যেতে হচ্ছে। এমনই চলছে দিনের পর দিন। এ কথা শুনলে অনেকেই ভাববেন তাঁকে নিয়েই আলোচনা হচ্ছে। কারণ, এমন সমস্যা রয়েছে অনেকের। কিন্তু কেন এমন হয়, তা জানা প্রয়োজন। না হলে সমস্যার সমাধান হবে কী ভাবে?
ক্লান্তি আসতেই পারে, তবে তা হয় সাময়িক। যদি মাসের পর পর মাস ক্লান্তির ঘোর থেকে বেরিয়ে আসতে না পারেন, তা হলে কিন্তু চিন্তার যথেষ্ট কারণ আছে। বিভিন্ন কারণেই ক্লান্তি আসতে পারে শরীর ও মনে। তবে শহুরে মানুষদের যে সব কারণে সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখা দিচ্ছে, রইল তেমন পাঁচটি কারণের হদিস।
১) পুষ্টির অভাব: খাওয়াদাওয়া ঠিক মতো না হলে ক্লান্তি কাটানো কঠিন। ব্যস্ত জীবনে খাওয়াদাওয়ার সময়ের কোনও ঠিক নেই। রোজ বাইরের খাবারের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা। খাওয়ার সময়ের কোনও ঠিক নেই, যখন খিদে পেল বা সময় হল, তখনই খাওয়া। তাতে শরীর সময় মতো পুষ্টি পায় না। ফলে কর্মশক্তিও কমতে থাকে।
২) ঘুম: এককালে ছিল টিভি দেখার নেশা। এখন তার সঙ্গে সমাজমাধ্যম, ওয়েব সিরিজ়ের মতো নানা ধরনের জিনিস যোগ হয়েছে। এ সবের টানে কমছে ঘুমের সময়। তাই প্রয়োজন মতো বিশ্রাম পাচ্ছে না শরীর। ক্লান্তিও কাটছে না।
৩) ওজন: ওজন যত বেশি হবে, যে কোনও কাজেই তত বেশি খাটনি হবে। ফলে অনেক বেশি শক্তিক্ষয় হবে। তাই স্থূলতার কারণেও কাটতে চায় না ক্লান্তি।
৪) মানসিক চাপ: মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও নির্ভর করে ক্লান্তি। টানা মানসিক চাপ থাকলে তার চাপ গিয়ে পড়ে পেশিতেও। মাথা ব্যথা, পেটের সমস্যাও লেগে থাকে। সব মিলে ক্লান্তি থেকে যায়।
৫) ডায়াবিটিস: রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকলেও জানান দেয় শরীর। ক্লান্তি হল ডায়াবিটিসের একটি গুরুতর উপসর্গ। দীর্ঘ দিন ধরে যদি ক্লান্তি না কাটে, তা হলে কিন্তু এক বার রক্তপরীক্ষা করিয়ে নেওয়াই ভাল।