অন্ডকোষের ক্যানসারের নেপথ্যে রয়েছে কে? প্রতীকী ছবি।
পুরুষদের যৌনাঙ্গের নীচে অবস্থিত অন্ডকোষ, শুক্রাণু উৎপাদনে এবং প্রজননে সাহায্য করে। দেহের অন্যান্য অংশের তুলনায় অন্ডোকোষের ক্যানসারে আক্রান্তের খবর তেমন ভাবে পাওয়া যায় না। মূলত ব্রিটেনের শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি। কিন্তু এই অন্ডকোষের ক্যানসার কেন হয়? হালের গবেষণা বলছে, ‘সেরিব্রাল পলসি’-র মতো স্নায়ুর সমস্যার সঙ্গে না কি অন্ডকোষের ক্যানসারের যোগ রয়েছে। এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে ‘ব্রিটিশ জার্নাল অফ ক্যানসার’ পত্রিকায়। সুইডেনের একদল গবেষক জানিয়েছেন, এই অন্ডকোষের আকার বা গঠনের কোনও পরিবর্ত হলে সেখানে টিউমার তৈরি হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। এই পরিবর্তন দেখলেই পুরুষদের সতর্ক হতে হবে। গবেষণার প্রধান, চিকিৎসক অ্যানা জ্যানসন বলেন, “এই বিষয়টি আমাদের কাছেও ধাঁধার মতো। স্নায়ুর রোগের সঙ্গে অন্ডকোষের ক্যানসারের যোগসূত্র থাকার কথা নয়। কিন্তু আমরা গবেষণায় তা খুঁজে পেয়েছি। কারও ক্ষেত্রে হয়তো একেবারে ভ্রূণ অবস্থাতেই সেরিব্রাল পলসির মতো সমস্যা ধরা পড়েছিল, বয়সকালে তাঁর অন্ডকোষে ক্যানসারের অস্তিস্ব মিলেছে।”
পরিসংখ্যান বলছে, ব্রিটেনের প্রায় ৭ লক্ষ নাগরিক অটিজ়মের শিকার। সেই দেশে প্রতি বছর প্রায় ২৩০০ জন পুরুষের শরীরে এই ক্যানসার থাবা বসায়। আগে এই ক্যানসার হওয়ার পিছনে পারিবারিক ইতিহাসকেই দায়ী করা হত। অনেকগুলি কারণের মধ্যে সেটি একটি কারণ হলেও গবেষণায় স্নায়ুর রোগেরও ইঙ্গিত মিলেছে।