সারা ক্ষণ ক্লান্ত লাগে? রক্তাল্পতার লক্ষণ নয় তো?
চেহারা ক্রমেই ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে। খাবার দেখলেই অরুচি আসছে। অফিস যাতায়াতের ধকল যেন আর বইতে পারছেন না। গরমের মরসুমে এগুলিকে শুধুই ক্লান্তি বলে অবহেলা করলে আপনি কিন্তু মস্ত ভুল করবেন। এগুলি কিন্তু হতেই পারে অ্যানিমিয়ার লক্ষণ। শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে এই উপসর্গগুলি দেখা যায়।
রক্তাল্পতায় আক্রান্ত ব্যক্তির অনেক সময় চুল ঝরতে পারে। রক্তাল্পতার ফলে রোগী মানসিক অবসাদে ভোগেন। অনেকের হৃদ্স্পন্দনের গতি বেড়ে যায় এই অসুখে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অনেক মহিলাই রক্তাল্পতার সমস্যায় ভোগেন। যা শিশুর স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেই ভাল নয়। পুষ্টিবিদদের মতে, খাদ্যাভাসে সামান্য বদল আনলেই এই রোগের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।
রোজের খাদ্যতালিকায় কী রাখলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়বে?
১) ভিটামিন সি যুক্ত ফল
শরীরে পর্যাপ্ত মাত্রায় ভিটামিন সি না থাকলে আয়রন শরীর ঠিক করে গ্রহণ করতে পারে না। ফলে এমন ফল নিয়মিত খাওয়া উচিত, যাতে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। আম, লেবু, আপেল, পেয়ারার মতো ফলে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। ভিটামিন সি অন্য খাবার থেকে আয়রন পেতে শরীরকে সাহায্য করে।
২) সব্জি
শাক-সব্জি খেলে আয়রনের ঘাটতি অনেক কমে। বিটের মতো আনাজ হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। টমেটো, কুমড়ো, ব্রকোলি বা পালং শাকে প্রচুর আয়রন থেকে। এগুলি খেলেও রক্তাল্পতার সমস্যা কমতে পারে।
প্রতীকী ছবি
৩) সামুদ্রিক মাছ
এই জাতীয় মাছে প্রচুর আয়রন থাকে। যাঁরা রক্তাল্পতায় ভুগছেন, তাঁরা এই মাছ খেতে পারেন। টুনা, ম্যাকারেল ইত্যাদি মাছ খাওয়া যেতেই পারে।
৪) শুকনো ফল
হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে শুকনো ফল খেতে পারেন। কিসমিস, কাজু, খেজুরে প্রচুর আয়রন রয়েছে। অ্যাপ্রিকটেও প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে। খেজুর শরীরে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি কমাতে সাহায্য করে।
৫) তিল
তিলে ভরপুর মাত্রায় আয়রন, কপার, ফোলেট, ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো খনিজ উপাদান থাকে। এই উপাদানগুলি রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
৬) ডার্ক চকোলেট
হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি কমানোর ক্ষেত্রে ডার্ক চকোলেট দারুণ দাওয়াই। মিল্ক চকোলেট বেশি পরিমাণে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে। কিন্তু ডার্ক চকোলেটে সেই সমস্যা নেই। বরং এটি খেলে আয়রনের ঘাটতি অনেকটাই কমবে।