কোন পথে পূরণ হবে আয়রনের ঘাটতি! ছবি: সংগৃহীত।
কোনও কারণ ছাড়াই দুর্বল লাগছে? হতেই পারে আয়রনের অভাব। শরীর ভাল রাখতে যে সমস্ত ভিটামিন ও খনিজের প্রয়োজনের হয়, তার মধ্যে আয়রন একটি। আয়রনের ঘাটতির ফলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যেতে পারে। বিশেষত, মহিলাদের এই সমস্যা বেশি হয়। তেমনটা হলেই শরীর দুর্বল লাগতে পারে। ক্লান্তি, মাথা ঘোরার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। আয়রনের অভাবে রক্তাল্পতা দেখা দেয়। বিশেষ করে, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় আয়রনের ঘাটতি বিপদ ডেকে আনতে পারে।
এত প্রয়োজনীয় যে খনিজ, শরীরে তার ঘাটতি পূরণ কী ভাবে সম্ভব?
আয়রন সমৃদ্ধ খাবার
মোচা, পালং শাক, টোফু, বিন্স ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের মাংসে আয়রন থাকে। খেজুর, কিসমিস, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, তিল খেল আয়রনের ঘাটতি দূর হবে। এ ছাড়া, সজনে গাছের পাতাতেও প্রচুর আয়রন থাকে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সব্জি থেকে বাদাম, ফল রাখা দরকার। মাছ-মাংস নিয়মিত খেলেও আয়রনের ঘাটতি পূরণ হবে। মুরগি, ভেড়া, পাঁঠার মাংসে উচ্চ মাত্রায় আয়রন পাওয়া যায়।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার
শরীর যাতে আয়রন শোষণ করতে পারে, সে জন্য ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াও দরকার। বিভিন্ন ধরনের লেবু, আমলকি, স্ট্রবেরি, টম্যাটো, ব্রকোলিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি আয়রন শোষণে শরীরকে সাহায্য করে।
টুকিটাকি খাবার
রকমারি ফল ও বাদাম খেলেও শরীর আয়রনের ঘাটতি দূর হবে। খেজুর, কিশমিশ, শুকনো অ্যাপ্রিকট, আখরোট, আমন্ড রাখুন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়। কুমড়োর বীজ, সাদা ও কালো তিল দিয়েও রান্না করতে পারেন। এতেও আয়রনের অভাব পূরণ হবে।
রন্ধন শৈলী
সাধারণত উচ্চ তাপমাত্রা ও বেশি তেলে দীর্ঘ ক্ষণ রান্না করলে সব্জির পুষ্টিগুণ কমে যায়। সেদ্ধ সব্জি খেলে তাতে ভিটামিন ও খনিজের মাত্রা বেশি পাওয়া যায়। তাই রন্ধন প্রণালীতেও বদল আনা প্রয়োজন।