বদলে ফেলুন স্নানের নিয়ম। ছবি: সংগৃহীত।
দিনভর ক্লান্তি হোক বা সকালে উঠে আলস্য কাটতে না চাওয়া, মাথায় একটু ঠান্ডা জল পড়লেই শরীর চনমনে হয়ে ওঠে। বিশেষত, গরমের দিনে স্নানের মতো আরাম কোনও কিছুতেই মেলে না। শীতেও, সারা দিনের কর্মব্যস্ততার পর হালকা গরম জলে স্নান করলে সমস্ত ক্লান্তি যেন নিমেষে দূর হয়ে যায়। ত্বক পরিষ্কার রাখতে, সংক্রমণ ঠেকাতেও নিয়মিত স্নান করা জরুরি।
স্নান তো প্রতি দিনই করেন। কিন্তু জানেন কি, স্নানের নিয়মে সামান্য বদল আনলে আপনি হয়ে উঠতে পারেন আরও বেশি তরতাজা!
সুন্দর আবহ
স্নানঘর নোংরা, দুর্গন্ধময় হলে সেখানে পা দিতে কার ইচ্ছে করে? তাই প্রথমেই স্নানের ঘর পরিচ্ছন্ন করা দরকার। সেখানে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সাজানো থাকলে, সুন্দর গন্ধ ছড়িয়ে থাকলে মন এমনিতেই ভাল যাবে। স্নানঘরে জোরালো নয়, বরং মৃদু আলোর ব্যবস্থা করুন। স্নানের সময় মৃদু আলো, সুন্দর গন্ধ মনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এর সঙ্গে যদি মৃদু সঙ্গীতের ব্যবস্থা করা যায়, মন শান্ত হবে।
এক্সফোলিয়েশন
সারা দিনে মুখের পাশাপাশি হাত, পায়েও ধুলো-ময়লা লাগে। তার উপর বর্ষার ভ্যাপসা গরমে ঘামে চিটচিটে হয়ে থাকে শরীর। কখনও র্যাশও দেখা দেয়। তাই স্নানের সময় সমগ্র শরীরের এক্সফোলিয়েশন জরুরি। এতে ধুলো-ময়লা, কালচে ভাব দূর হয়। মৃত কোষ পরিষ্কার হয়। বেসনের সঙ্গে চালের গুঁড়ো মিশিয়ে তাতে দুধ দিয়ে সারা শরীর স্ক্রাব করে নিতে পারেন।
জলের তাপমাত্রা
গরম জলে স্নান করলে কতটা গরম, ঠান্ডা জল কতটা ঠান্ডা হলে শরীরের জন্য ভাল বা শরীর আরাম পাবে, তা বোঝা জরুরি। সাধারণত অতিরিক্ত ঠান্ডা বা খুব গরম জল, কোনওটাই ত্বকের জন্য ঠিক নয় বলে মনে করা হয়। অতিরিক্ত গরম জলে ত্বকের আর্দ্রতা কমে যায়। হালকা গরম জলে স্নান করতে পারেন। এতে ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। আবার প্রবল গরম থেকে এলে ঠান্ডা জলে শরীর শীতল হয়। তাই শরীরের পক্ষে জলের যে তাপমাত্রা আরামদায়ক মনে হচ্ছে, সেটাই বেছে নিন।
ফেনাযুক্ত বডিওয়াশ
স্নানের সময় ফেনায় ভরে যাবে শরীর, সুন্দর গন্ধ হবে, এর মধ্যেই একটা ভাল লাগা থাকে। তাই এমন কোনও তরল সাবান বা বডিওয়াশ বেছে নিন, যাতে সুন্দর গন্ধ আছে এবং অনেক ফেনা হয়। ফেনা বেশি হলে তা ধোয়ার জন্য বেশি জল ব্যবহার করতে হয়। স্নানের সময়ও দীর্ঘ হয়। এতে স্নান আরও উপভোগ্য হয়ে ওঠে।