দিনে ক’টা ডিম খান? ছবি- সংগৃহীত
শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিনের জন্য চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলেই প্রতি দিন একটি করে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন। আবার ডিম খেতে ভালবাসেন অনেকেই। তাই সকালের জলখাবারে ডিম সেদ্ধ বা পোচ থেকে শুরু করে রাতে ডিম ভাজা বা ডিমের ঝোল, সর্বত্রই ডিমের ছড়াছড়ি। কিন্তু সব বয়সের মানুষের এতগুলি করে ডিম খাওয়া উচিত কি?
চিকিৎসকরা বলছেন, এক জন দিনে কতগুলি করে ডিম খেতে পারবেন, তা নির্ভর করবে তাঁর শারীরিক কী জটিলতা আছে, তার উপর। এক জন সুস্থ মানুষ সপ্তাহে সাত দিনই ডিম খেতে পারেন। কিন্তু যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ বা কোলেস্টেরলের সমস্যা আছে, তাঁদের জন্য ডিম ক্ষতিকারক। কারণ, ডিমের কুসুম খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। এ ছাড়াও হজমের গোলমাল, গ্যাস, রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। যাঁদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে, তাঁদেরও বেশি ডিম খাওয়া উচিত নয়।
সারা দিনে সর্বাধিক ক’টি ডিম খাওয়া যায়?
উল্লিখিত শারীরিক সমস্যাগুলি না থাকলে কোনও ব্যক্তি এক দিনে সর্বাধিক ৩টি ডিম খেতেই পারেন। এমনই মত চিকিৎসকদের। তবে এখন বিভিন্ন সংস্থা শরীরের বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধার কথা বুঝে বিশেষ ধরনের ডিম উৎপাদনের দিকে নজর দিচ্ছে। যদি কারও কোলেস্টেরল বেশি থাকে, তাঁদের জন্য ‘কোলেস্টেরল ফ্রি’ ডিম হচ্ছে, আবার কারও ডিমে অ্যালার্জি থাকলে তাঁদের জন্যও আলাদা ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শিশু এবং তরুণদের জন্য অতিরিক্ত ভিটামিন এবং প্রোটিনযুক্ত ডিমও পাওয়া যায়। তাই কোলেস্টেরলের ভয়ে ডিম না খাওয়ার পুরনো চিন্তা এখন অনেকটাই কমেছে বলেও দাবি করছে কিছু কিছু সংস্থা। কিন্তু শারীরিক সমস্যা থাকলে ডিম খাওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া জরুরি বলে মত চিকিৎসকদের একাংশের।