উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দৈনন্দিন জীবনে কিছু বদল আনার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। ছবি: সংগৃহীত
শরীরচর্চা না করা, বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা, মানসিক উদ্বেগ— এমন কিছু কারণে যে সমস্যাগুলি বাসা বাঁধে শরীরে, তার মধ্যে অন্যতম উচ্চ রক্তচাপ। এই রোগ থেকেই জন্ম নেয় হৃদ্রোগের মতো সমস্যা। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ভারতে প্রতি বছর ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন।রক্তচাপের কারণে ধমনীর ভিতরের দেওয়ালে থাকা বিভিন্ন কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে শরীরে ধমনী সংক্রান্ত ক্রিয়াকলাপে অস্বাভাবিকতা দেখা যায়। উচ্চ রক্তচাপের প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কেও। ফলে পরবর্তী কালে স্মৃতিভ্রংশের মতো সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দৈনন্দিন জীবনে কিছু বদল আনার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। খাওয়াদাওয়াতে বিধিনিষেধ ছাড়াও নিয়ম করে শরীরচর্চা করতেও বলেন। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমাতে বেশি করে জল খাওয়ার কথাও কিন্তু বলে থাকেন চিকিৎসকরা। এই রোগে শরীর আর্দ্র রাখা প্রয়োজন। শরীরে জলের অভাব ঘটলে সমস্যা মারাত্মক আকার নিতে পারে। শরীর আর্দ্র থাকলে হৃৎপিণ্ড সহজে রক্ত পাম্প করতে পারে।‘আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন’ অনুসারে রক্তচাপের সমস্যা এড়াতে বেশি করে জল খাওয়ার চেয়ে ভাল দাওয়াই আর হতে পারে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর মত অনুসারে, বেশি করে জল খাওয়া ছাড়াও রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে মানসিক চাপ কম করা, ধূমপান না করা, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাও প্রয়োজন। কিন্তু উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমাতে প্রতি দিন কতটা পরিমাণ জল খাওয়া প্রয়োজন?
হৃদ্রোগ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের দিনে অন্তত ৭-৮ গ্লাস জল খাওয়া প্রয়োজন। প্রতীকী ছবি।
হৃদ্রোগ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের দিনে অন্তত ৭-৮ গ্লাস জল খাওয়া প্রয়োজন। জল রক্ত পরিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে। রক্তে মিশে থাকা বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থগুলি শরীর থেকে বাইরে নির্গত করে জল। পুষ্টিবিদরা অবশ্য জল খাওয়ার পাশাপাশি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ক্র্যানবেরি রসের উপকারিতার কথাও বলেছেন। ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ এই ফল বিভিন্ন প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে। রক্তপ্রবাহকে উন্নত করে।