কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলি শীতের মরসুমে খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
শীতকাল এলেই নানা রকম খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। গরমের মতো শীতে সহজে গ্যাস-অম্বলের ভয় থাকে না বলে খাওয়াদাওয়ায় কড়া নিয়ম মেনে চলেন না অনেকেই। বিয়েবাড়িতে একটা ফিশ ফ্রাইয়ের বদলে দুটো খেয়ে নেন। সোয়েটার পরে হলেও আইসক্রিম খাওয়া চাই। শীতকালে এমনিতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। সে জন্য চিকিৎসকরা ভাল করে খাওয়াদাওয়া করার কথা বলে থাকেন। তবে শীত মানেই সব খাবার খাওয়ায় ছাড় রয়েছে, এমন নয়। কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলি শীতের মরসুমে খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। রইল তেমন কয়েকটি খাবারের তালিকা। শীতকালে সুস্থ থাকতে এই খাবারগুলি থেকে দূরে থাকলে ভাল।
দুগ্ধজাতীয় খাবার
দই, ঘোল, লস্যি— শরীর ঠান্ডা রাখে বলে গরমকালে এই পানীয়গুলির আলাদাই কদর। কিন্তু শীতকালে তাপমাত্রা এমনিতে কম। ফলে আলাদা করে শরীর ঠান্ডা রাখার তেমন কোনও প্রয়োজন পড়ে না। শীতকালে এই ধরনের দুগ্ধজাতীয় খাবার এবং পানীয় খেলে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। দই শরীরের জন্য ভাল হলেও, ঠান্ডা লাগার ধাত থাকলে শীতকালে যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
শীতকালে বেশি ক্যাফিনজাতীয় কফি খেলে সমস্যা হতে পারে বলেই মনে করছেন পুষ্টিবিদরা। ছবি: সংগৃহীত
মিষ্টিজাতীয় খাবার
শীত মানেই উৎসব। বিয়েবাড়ি, বড়দিন— উৎসবের শেষ নেই। সেই সঙ্গে রয়েছে নানা রকম খাবার। বাঙালির উৎসব, অথচ মিষ্টি থাকবে না, তা কী করে হয়। আবার বড়দিন মানেই নানা ধরনের কেক। পুষ্টিবিদদের মতে, শীতকালে দেদার কেক, মিষ্টি খাওয়ার এই অভ্যাসে প্রতিরোধশক্তি কমে যেতে পারে। ফলে সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা হারাবে শরীর।
ক্যাফিন
বিকেলে গরম ধোঁয়া ওঠা কফিতে চুমুক না দিলে আর কিসের শীতকাল। কিন্তু শীতকালে বেশি ক্যাফিনজাতীয় কফি খেলে সমস্যা হতে পারে বলেই মনে করছেন পুষ্টিবিদরা। কারণ এই সময়ে জল খাওয়ার প্রবণতা এমনিতে কমে যায়। তার উপর বেশি কফি গেলে শরীর আর্দ্রতা হারাতে শুরু করবে। গলা শুকিয়ে যাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা তৈরি হবে।
ভাজাভুজি
শীতের সন্ধ্যায় চায়ের সঙ্গে ‘টা’ না হলে চলে না। কিন্তু শীতকালে ভাজাভুজি জাতীয় খাবার বেশি খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। শীতকালে এমনিতেই শরীরচর্চার অভ্যাস অনেকটা কমে যায়। তার উপর এই ধরনের খাবার বেশি খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।