চিজ় খেলেই সব মনে রাখতে পারবেন । ছবি: সংগৃহীত।
গোটা শরীরকে পরিচালনা করে মস্তিষ্ক। কারও ডাকে সাড়া দেওয়া থেকে কোনও জটিল অঙ্কের সমাধান— সবের মূলেই রয়েছে মাথা। তাই মস্তিষ্কের কর্মকাণ্ড সচল রাখতে চিকিৎসকেরা শারীরিক ভাবে সক্রিয় থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে জাপানের একদল গবেষকের সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে উঠে আসা তথ্য বলছে, মস্তিষ্কে স্নায়ুর জটিল রোগ ডিমেনশিয়ার মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত চিজ় খাওয়া জরুরি।
ডিমেনশিয়ার মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত চিজ় খাওয়া জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
বয়স বাড়লে স্মৃতি লোপ পাওয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে নিজের নাম, বাড়ির ঠিকানা, পরিচিত মানুষদের চিনতে না পারার মতো লক্ষণ একেবারেই সাধারণ নয়। মস্তিষ্কের স্নায়ুর জটিল রোগই কারও কারও ক্ষেত্রে মারাত্মক আকার ধারণ করলে এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে ডিমেনশিয়া বলা হয়। এই ডিমেনশিয়া আবার বিভিন্ন পর্যায় রয়েছে। সময় বিশেষে যা পার্কিনসন্স বা অ্যালঝাইমার্সের মতো আকার ধারণ করে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, মস্তিষ্কের স্নায়ুর এই ধরনের রোগ ঠেকিয়ে রাখা গেলেও তা একেবারে সারিয়ে তোলা প্রায় অসম্ভব। জাপানে ষাটোর্ধ্ব প্রায় দেড় হাজার মানুষের খাবার অভ্যাস এবং জীবনযাপনের ভিত্তিতে করা সমীক্ষা শেষে দেখা গিয়েছে, যাঁরা নিয়মিত চিজ় বা পনিরের মতো খাবার খান তাঁদের কগনিটিভ কার্যকারিতা অন্যদের তুলনায় অনেকটাই উন্নত। দুগ্ধজাত খাবারের সঙ্গে মস্তিষ্কের কার্যকারিতার সংযোগের এই বিষয়টি ‘নিউট্রিশান’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। গাঁও রিসার্চ সেন্টারের প্রধান গবেষক হানকিং কিম বলছেন, নিয়মিত চিজ়, পনিরের মতো দুগ্ধজাত খাবার খেলে মস্তিষ্কের কগনিটিভ কার্যকারিতা উন্নত হয়। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে গেলে আরও বিশদ গবেষণা প্রয়োজন।