কী ভাবে পালং শাক খেলে স্বাদরক্ষা হবে আর ভুঁড়িও কমবে? ছবি: সংগৃহীত।
বাজারে গেলেই এখন চোখে পড়ে থাকে থাকে সাজানো টাটকা দেশি পালং। সারা বছর ধরে পাওয়া গেলেও শীতকালে দেশি পালংয়ের স্বাদই হয় আলাদা। সব রকম টাটকা সব্জি দিয়ে বানানো পালং শাকের ঘণ্ট খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনিই স্বাস্থ্যকর এই শাক। পালং শাকে ভিটামিন এ, সি এবং কে ভরপুর মাত্রায় থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। দৃষ্টিশক্তি ভাল করতেও পালং শাক উপকারী। এই শাক আয়রনে পরিপূর্ণ, যা শরীরে অক্সিজেন পাওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। রক্তাল্পতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে এই শাক বেশ উপকারী। কম ক্যালোরি এবং উচ্চ ফাইবারযুক্ত এই শাক হজমে সাহায্য করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণেও বেশ উপকারী। রোজ কী ভাবে পালং শাক খেলে শরীর চাঙ্গা থাকবে আর ওজনও বাগে রাখা সম্ভব হবে, রইল হদিস।
পালংয়ের অমলেট: বেশ খানিকটা পালং শাক নিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন। এ বার একটি ছোট ননস্টিক প্যানে সামান্য অলিভ অয়েল গরম করে তাতে পালং শাকগুলি ছড়িয়ে দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন। খুব বেশি নাড়াচাড়া করার দরকার নেই। পালং শাক নরম হয়ে গেলে নুন, গোলমরিচ, টোম্যাটো দিয়ে ফেটিয়ে রাখা দুটি ডিম পালং শাকের উপর ঢেলে দিন। অমলেটটি ভাল করে ভেজে নিয়ে প্রাতরাশে খেয়ে ফেলুন।
পালং শাকের স্মুদি: একটি মিক্সারে পালং শাক, অর্ধেকটা কলা, গ্রিক ইওগার্ট, কয়েকটি কাঠবাদাম আর সামান্য মধু দিয়ে ভাল করে বেটে নিন। এ বার প্রাতরাশে এক গ্লাস এই স্মুদি খেলেই পেট অনেক ক্ষণ ভরা থাকবে।
দইয়ের সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে স্বাস্থ্যকর পালং পরোটা। ছবি: সংগৃহীত।
পালং পরোটা: পালং শাকের কুচি, ছানা, কাঁচালঙ্কা কুচি, নুন, গোলমরিচ, কসৌরি মেথি, জোয়ান ভাল করে মিশিয়ে আটার সঙ্গে ভাল করে মেখে নিন। এ বার পরোটার মতো বেলে অল্প অলিভ অয়েলে সেঁকে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে পালং-পনির পরোটা। দইয়ের সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে স্বাস্থ্যকর এই পরোটা।