ড্রাই ফ্রুটস খেয়েই কমাতে পারেন রক্তচাপ। ছবি: সংগৃহীত।
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ইদানীং আর বয়সের বাধা মানছে না। যেকোনও বয়সেই রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া মানেই নানা রোগের ঝুঁকি বাড়তে থাকা। তাই রক্তচাপের মাত্রা বশে রাখতেই হবে। পেশাগত জীবনের কাজ, ব্যস্ততা, মানসিক, চাপ, বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। রক্তচাপের মাত্রা যদি বিপদসীমার বাইরে বেরিয়ে যায়, তখনই কঠিন রোগ হানা দেয়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রেণে রাখতে অনেকেই নানা নিয়ম মেনে চলেন। তবে কিছু ড্রাইফ্রুটস রক্তচাপের মাত্রা হাতের মুঠোয় রাখতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা কোন ধরনের ড্রাই ফ্রুটস খেতে পারেন?
কাঠবাদাম
কাঠবাদামে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যেগুলি হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ভাল। ‘জার্নাল অফ নিউট্রিশন’-এ প্রকাশিত গবেষণা জানাচ্ছে, কাঠবাদাম রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তা ছাড়া কাঠবাদামে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, যা রক্ত চলাচল সচল রাখে।
আখরোট
ওমেগা ৩ থাকায় আখরোট উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। রক্তচাপ বেড়ে গেলে আখরোট ওষুধের মতো কাজ করে। হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষাতেও আখরোট দারুণ উপকারী। আখরোটে থাকায় ‘আলফা লিনোলেনিক’ অ্যাসিড প্রদাহজনিত সমস্যার সমাধান করে।
কিশমিশ
ডায়াবিটিকদের কিশমিশ খেতে বারণ করেন চিকিৎসকেরা। তবে উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা চাইলে কিশমিশ খেতে পারেন। ‘আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিয়োলজি’-র সমীক্ষা জানাচ্ছে, দিনে তিনবার কিশমিশ খেতে পারলে কমবে রক্তচাপের মাত্রা।
পেস্তা
উচ্চ রক্তচাপের দাওয়াই হিসাবে পেস্তার জুড়ি মেলা ভার। পেস্তা ‘সিস্টোলিক’ উচ্চ রক্তচাপ কমায়। পেস্তায় রয়েছে পটাশিয়াম, যা হার্ট সুরক্ষিত রাখে। রক্তচাপ বেড়ে যেতে দেয় না পেস্তা।