সুষম খাবারের সঙ্গে অনায়াসে অল্প ভাত খাওয়া যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
রোগা হওয়ার পথে প্রধান বাধা হল ভাত। ওজন কমানোর ডায়েটে তাই প্রথমেই বাদ পড়ে যায় ভাত। মেদ কমানো সহজ হয় ভাত থেকে দূরে থাকলে, এমনটাই মনে করেন অনেকে। ডায়েটে ময়দা যাও বা রাখা যায়, ভাত একেবারেই নয়— এই ধারণায় বিশ্বাসীদের সংখ্যা একেবারে কম নয়। কিন্তু সত্যিই কি ভাত ওজন বাড়িয়ে দেয়?
পুষ্টিবিদদের মতে, ভাত খেলে মোটা হয়ে যেতে হবে— প্রথমে এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এমন ভ্রান্ত ধারণা পুষে রাখার কোনও মানেই নেই। সুষম খাবারের সঙ্গে অনায়াসে অল্প ভাত খাওয়া যেতে পারে। এমনকি, ফ্যানা ভাত খেলেও মোটা হয়ে যাওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই। ভাত খেলে ওজন তো বাড়েই না, বরং উচ্চ রক্তচাপ এবং আরও অনেক সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। সারা দিনে ১৫০ গ্রাম মতো ভাত খাওয়া যেতেই পারে। এতে কমপক্ষে ৫০০ ক্যালোরির বেশি শরীরে ঢোকে না। সঙ্গে কম তেল দিয়ে রান্না করা ডাল, সব্জি, মাছ, ডিম খেলে এক দিকে যেমন যথাযথ পুষ্টি পাওয়া যায়, তেমনই ক্যালোরির হিসাব ঠিক থাকে।
ভাত হজম হয় ধীরে, ফলে পেট অনেক ক্ষণ ভরা থাকে। ছবি: সংগৃহীত
ভাতে রয়েছে স্টার্চ, শরীরকে শক্তি জোগাতে যার বিরাট ভূমিকা। এ ছাড়াও রয়েছে ফাইবারের মতো উপকারী উপাদান। যা পেটের সমস্যা কমাতে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং রক্তচাপ বশে রাখতেও যার ভূমিকা অনবদ্য। ভাত হজম হয় ধীরে, ফলে পেট অনেক ক্ষণ ভরা থাকে। তা ছাড়া ভাত খেলে সেরেটোনিন নামে হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে বলে অল্প খেলেও শরীর এবং মন চাঙ্গা থাকে। ভাতে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেল। বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে মিলিয়ে-মিশিয়ে খেলে সে উপকার আরও বাড়ে। যেমন বিনসের সঙ্গে খেলে বেশি প্রোটিন পাওয়া যায়। ডাল-তরকারির সঙ্গে লেবু মিশিয়ে খেলে পাওয়া যায় প্রচুর আয়রন। তাই ভাত খাওয়া বন্ধ করা মানে এক প্রকার বোকামি।