ম্যাচ চলাকালীন নিজেকে উজাড় করে দিতে যতটুকু পরিশ্রম করা জরুরি, তার চেয়ে খানিকটা বেশিই করেন তিনি। ছবি: সংগৃহীত
গত কয়েক মাসে জাতীয় ক্রিকেট দলে নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছেন শুভমন গিল। আমদাবাদে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৬৩ বলে অপরাজিত ১২৬ রানের ইনিংস খেলেছেন শুভমন। এই জয়ের কৃতিত্ব অনেকটাই যায় শুভমনের কাছে। শুভমন নিজে ১২৬ রান করেছেন। কনিষ্ঠতম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসাবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শতরান করলেন এই ক্রিকেটার। বিরাট কোহলি ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎও বলেন শুভমন গিলকে।
খেলোয়াড় মানেই তাঁকে ফিট থাকতে হবে। বাইশ গজে নিজের সেরাটা দিতে সে দিকে কোনও খামতি রাখেন না ২৩ বছর বয়সি ক্রিকেটার। পঞ্জাবের ছেলে শুভমন এমনিতে যথেষ্ট পরিশ্রমী। ম্যাচ চলাকালীন নিজেকে উজাড় করে দিতে যতটুকু পরিশ্রম করা জরুরি, তার চেয়ে খানিকটা বেশিই করেন তিনি। ক্রিকেটের অনুশীলন তো আছেই। সেই সঙ্গে ভাল খেলার জন্য নিজেকে ভিতর থেকে ফিট রাখাটাও জরুরি। তাই সে দিকেও কড়া নজর তাঁর। শুভমনের ফিটনেস রুটিন ঠিক কেমন?
ভাল খেলার জন্য নিজেকে ভিতর থেকে ফিট রাখা জরুরি। ছবি: সংগৃহীত
শরীরচর্চা
খেলার অনুশীলনের পাশাপাশি নিয়ম মেনে রোজ জিমে যান শুভমন। ম্যাচ থাকলেও চেষ্টা করেন হোটেলের জিমে গিয়ে শরীরচর্চা সেরে ফেলতে। মন দিয়ে বিভিন্ন ধরনের শরীরচর্চা করেন। ওজন তোলা থেকে রোপ ট্রেনিং, শুভমন শরীরচর্চা ফাঁকি দেন না। ক্যালোরি আছে এমন খাবার যদি কখনও খেয়ে ফেলেন, তা হলে পরের দিন শরীরচর্চার সময় বাড়িয়ে দেন।
খাওয়াদাওয়া
শরীরচর্চার পাশাপাশি কঠোর ডায়েটও করেন তিনি। বাইরের খাবার খেতে ভালবাসেন। কিন্তু নিজেকে আটকে রাখেন সেগুলির থেকে। তাঁর রোজের পাতে থাকে শাকসব্জি, স্বাস্থ্যকর খাবার। শুভমন জানিয়েছেন, তিনি ক্রিকেটকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসেন। এক জন ক্রিকেটার হিসাবে নিজেকে ফিট রাখা দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তাই বাইরের খাবার ছুঁয়েও দেখেন না তিনি।
ধারাবাহিকতা
খেলা বলে নয়, জীবনের যে কোনও ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা ভীষণ জরুরি। অন্তত তেমনটাই মনে করেন শুভমন। শরীরচর্চা থেকে ডায়েট— সবটাই ধারাবাহিক ভাবে হওয়া জরুরি। শুভমনের ধারণা, একটা ভাল অভ্যাস গড়ে তুলতে সময় লাগে। কিন্তু এক বার অভ্যাস তৈরি হয়ে গেলে প্রাপ্তি ঘটে অনেক কিছু।