শুক্রাণুর পরিমাণ বৃদ্ধি করুন নয়া উপায়ে। প্রতীকী ছবি।
ধোকার ডালনা কিংবা কষা মাংস— রান্নায় আদা না পড়লে স্বাদটাই যেন বদলে যায়। আমিষ, নিরামিষ দু’রকম রান্নাতেই আদার ব্যবহার অপরিহার্য। তরকারি থেকে চা, আদার জনপ্রিয়তা কম নয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, আদার অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান শরীরের যত্ন নিতে পারদর্শী। রোজ যদি এক টুকরো আদা খাওয়া যায়, তা হলে সত্যিই উপকার মেলে। হেঁশেলের এই চেনা আনাজটি কী কী উপকার করে?
মুখের স্বাস্থ্য ভাল রাখে
দাঁত এবং মাড়ির যত্ন নেওয়া সহজ নয়। দাঁত মাজা এবং মুখ ধোয়া মুখের স্বাস্থ্য ভাল রাখার শেষ কথা নয়। নানা ধরনের ব্যাক্টেরিয়াজাত সংক্রমণের ঝুঁকি লেগেই থাকে। আশঙ্কা কমাতে পারে আদা। এতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ব্যাক্টেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করে নানা রোগের ঝুঁকি কমায়।
পেটের গোলমাল কমায়
বদহজম, অম্বলের মতো সমস্যার শেষ নেই। পেটের গোলমাল থেকে বাঁচতে তেল-মশলা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে আদা কিন্তু পেট ভাল রাখে। গরমে ডায়েরিয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এ ধরনের রোগবালাই দূর করতে আদা কিন্তু ওষুধের মতো কাজ করে।
যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে
যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে আদার কিন্তু ভূমিকা রয়েছে। পুরুষদের যৌন হরমোন টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধিতে এবং লিঙ্গ শিথিলতার মতো সমস্যা নিরাময় করতে প্রাকৃতিক পথ্য হতেই পারে আদা। এমনকি, শুক্রাণুর ঘনত্ব বৃদ্ধি করার জন্যেও আদা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ত্বকের যত্নে
ত্বকের ক্ষত ও প্রদাহ সৃষ্টিকারী রোগ ‘সরিয়াসিস’ অত্যন্ত পরিচিত একটি অসুখ। আদার নির্যাসে রয়েছে প্রদাহ নির্মূলকারী একাধিক উপাদান, যা এই ধরনের জ্বালা-যন্ত্রণা দূর করতে বেশ কার্যকর হতে পারে বলেই মত চিকিৎসকের। তা ছাড়া এগজ়িমার মতো রোগের ঝুঁকি এড়াতেও উপকারী আদা। এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ত্বকের খেয়াল রাখে।
আর্থরাইটিসের ঝুঁকি কমায়
বয়স বাড়লে পায়ে ব্যথা-যন্ত্রণার সমস্যা লেগেই থাকে। সেগুলিই ধীরে ধীরে পরিণত হয় আর্থরাইটিসের মতো সমস্যায়। হাড় এবং পেশি সচল রাখতে আদার উপকারিতা কম নয়। আদায় থাকা নানা উপকারী উপাদান হাড়ের নমনীয়তা বজায় রাখে। হাড়ের ক্ষয় রোধ করে।