ছবি: সংগৃহীত
নতুন বছরের অনেকেই অনেক কিছু পরিবর্তনের সংকল্প নিয়ে থাকেন। ভুঁড়ি কমানো এই তালিকায় প্রথমের দিকেই থাকবে। কিন্তু ভাবা যতটা সহজ, করা ততটাই কঠিন। রইল নতুন বছরে ভুঁড়ি কমানোর ঘরোয়া কিছু টোটকা।
১। জল খান বেশি করে। অবাক শোনালেও স্বাস্থ্য রক্ষা ও ওজন কমাতে জল পানের বিকল্প নেই। শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখা মেদ ঝরাতেও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
জলের সঙ্গে সঙ্গে, গ্রিন টি, লাল চা, দুধ ছাড়া কফি বা ফলের রসও স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। জল দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি রাখে আর অসময়ে অস্বাস্থ্যকর খাবারের থেকে আপনাকে দূরে রাখে।
২| অতিরিক্ত মিষ্টি খাবেন না। মিষ্টান্ন বা ডেসার্টে থাকে অসম্পৃক্ত তেল এবং প্রচুর পরিমাণে চিনি। চিনি আমাদের শরীরে থেকে যায় অনেক বেশি সময় ধরে এবং ওজন কমতে দেয়ে না। এরই মধ্যে পরে কার্বনেটেড পানীয়ও।
ছবি: সংগৃহীত
৩| প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ান। প্রোটিন হজম হতে সময় লাগে, তাই অসময়ে খিদে পায় না এবং একই সঙ্গে শরীরকে দেয় তেজ ও শক্তি। মাছ, মাংস, ডিমের বাইরে প্রোটিন থাকে ডাল, কাঠবাদাম, সবুজ সব্জি এবং ওটসে।
৪| নুনের পরিমাণ কমান। এই কাজটি বেশ শক্ত হলেও খুব কার্যকর। নুনের সোডিয়াম থেকে হয় ব্লোটিং, বা পেট ফুলে যাওয়া। আর তাতে কমে যায় শরীরের বিপাকীয় গতি যার জন্য ভুড়ি কমানো হয়ে ওঠে কষ্টকর।
৫| সময় আনুযায়ী খান এবং যথেষ্ট ঘুমান। শরীরচর্চা করায় এটাই প্রথম পদক্ষেপ। অসময়ে খেলে, বিশেষ করে রাতে, ভালো ভাবে হজম হয়ে না খাবার আর তাতে বাড়ে ভুড়ি। ভালো করে, যথেষ্ঠ ঘুম সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি।