পায়ের কিছু উপসর্গ দেখলে বোঝা যায়, শরীরে এই রোগ বাসা বেঁধেছে কি না। ছবি-প্রতীকী
উচ্চ কোলেস্টেরল হৃদ্রোগের সাধারণ ঝুঁকিগুলির মধ্যে একটি। ভারতে প্রতি বছর উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যায় আক্রান্ত হন ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ। আধুনিক জীবনযাত্রা, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অতিরিক্ত চাপ— এ সবের কারণে যে অসুখগুলি সবচেয়ে বেশি হানা দেয়, তার মধ্যে অন্যতম কোলেস্টেরল। ‘ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস’-এর সমীক্ষা অনুসারে ভারতে প্রায় ৪০-৫০ শতাংশ মানুষ উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগে থাকেন।
উচ্চ কোলেস্টেরল বা হাইপারকোলেস্টেরোলেমিয়া জনমানসের কাছে একেবারে অপরিচিত বিষয় নয়। এই রোগে রক্তপ্রবাহে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল দেখা যায়। এই বাড়তি কোলেস্টেরল রক্তপ্রবাহের স্বাভাবিক চলাচলে বাধা দেয়। হৃদ্রোগের পাশাপাশি বাড়িয়ে তোলে হৃদ্যন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও। এই রোগ হাইপারলিপিডেমিয়া নামেও পরিচিত। চিকিৎসকরা বলছেন, এই অসুখের প্রবণতা আছে কি না, বা ইতিমধ্যেই রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে কি না, তা বুঝতে সব সময় রক্ত পরীক্ষা পর্যন্ত অপেক্ষা করার প্রয়োজন হয় না। বরং পায়ের কিছু উপসর্গ দেখলে বোঝা যায়, শরীরে এই রোগ বাসা বেঁধেছে কি না।
১) পায়ের পাতা মাঝেমাঝে অসাড় হয়ে যাওয়া।
২) হাঁটতে হাঁটতে পায়ের জোর কমে যাওয়া।
৩) হাঁটাহাঁটি বা সিঁড়ি বেয়ে ওঠার পরে পায়ের পেশিতে টান ধরা।
৪) পায়ের আঙুল কোনও ক্ষত শুকোতে দেরি হওয়া।
৫) ধীর গতিতে পায়ের লোমের বৃদ্ধি।
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলা জরুরি। রোজের জীবনধারাতেও কিছু কিছু বদল আনা জরুরি। খাওয়াদাওয়াতেও বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন।