গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও হতে পারে ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ। ছবি: শাটারস্টক।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জীবনযাপনে বেশ কিছু বদল এসেছে। যার হাত ধরে বৃদ্ধি পেয়েছে বিভিন্ন অসুখও। দিনের পর দিন রেস্তরাঁয় খাওয়া, ধূমপান, শরীরচর্চায় অনীহা— এই সব বদ অভ্যাসের হাত ধরেই শরীরে বাসা বাঁধে নানা জটিল রোগ। এমনই একটি অসুখ হল নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। কী ভাবে এই রোগে আক্রান্ত হয় মানুষ? কী কী সমস্যা দেখা যায়? নিরাময়ের রাস্তা কী?
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত মদ্যপান অথবা বিশেষ কিছু ওষুধ খেলে লিভারে ফ্যাটের সঞ্চয় হয়। তাকে বলা হয় অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। কিন্তু যখন এই দুই কারণ ছাড়াই ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ দেখা দেয়, তখন সেই রোগকে বলা হয় নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। এই রোগের হাত ধরে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে লিভার সিরোসিসের মতো মারণব্যাধি। প্রাথমিক পর্যায় ধরা পড়লে খাওয়াদাওয়ায় রাশ টেনে ও ওষুধের সাহায্যে এই রোগকে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এই রোগের উপসর্গগুলি জানা থাকলে তবেই এই রোগের সঙ্গে লড়াই করতে পারবেন। জেনে নিন, পাকস্থলী সংক্রান্ত কোন উপসর্গগুলি দেখা দিলেই এই রোগের বিষয়ে সতর্ক হবেন।
১) কিছু না খেয়েও যদি ঘন ঘন পেট ভার লাগে, পেটে গ্যাস হয়, পেট ফুলে থাকে, তা হলে কিন্তু সতর্ক হতে হবে। চিকিৎসকদের মতে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে পাকস্থলীর নীচের অংশে জল জমতে থাকে। তরল জমেই পেট ফুলে ওঠে। তাই অকারণ ভুঁড়ি বাড়তে শুরু করলেও সতর্ক হোন।
প্রাথমিক পর্যায়ে ফ্যাটি লিভার ধরা পড়লে খাওয়াদাওয়ায় রাশ টেনে ও ওষুধের সাহায্যে এই রোগকে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ছবি: সংগৃহীত।
২) তলপেটে তীব্র ব্যথাও কিন্তু হতে পারে ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ। এ ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় পেটের ডান দিকে ব্যথা হয়। এই ব্যথার সঙ্গে বমি বমি ভাব, খিদে কমে যাওয়ার মতো উপসর্গগুলি দেখলেও ফ্যাটি লিভারের বিষয়ে সতর্ক হন।
৩) ঘন ঘন অম্বল হচ্ছে? কিছু খেলেই বুকে জ্বালাভাব? এই লক্ষণও কিন্তু ভাল নয়। নিয়মিত এমনটা হতে থাকলে সতর্ক হোন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ফ্যাটি লিভারের কারণেও এমনটা হতে পারে।
৪) সারা ক্ষণ মনে হয় পেট ভরা আছে? কিছু খেলেই হজম করতে সমস্যা হয়? তা হলে ফ্যাটি লিভার হয়েছে কি না, সে বিষয় চিকিৎসকদের পরামর্শ নিন।
৫) ফ্যাটি লিভারের কারণে শরীর থেকে টক্সিন ভাল করে বেরোতে পারে না। তাই নজর রাখুন প্রস্রাবের রং ও গন্ধের দিকে। শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী জল খাওয়ার পরেও একটানা প্রস্রাবের রং হলুদ হতে থাকলে ও অতিরিক্ত দুর্গন্ধ থাকলে ফ্যাটি লিভারের পরীক্ষা করান।