বার্ধক্যেও শরীর থাকুক চনমনে। ছবি: সংগৃহীত।
প্রকৃতির নিয়মে বয়সের চাকা সামনের দিকে এগোবে। বার্ধক্য যত এগিয়ে আসবে, শরীর জুড়ে জাঁকিয়ে বসতে শুরু করে নানা ক্রনিক সমস্যা। কোলেস্টেরল, ডায়াবিটিস, থাইরয়েড, পেশির ক্ষয়, হাঁটুতে ব্যথা লেগেই থাকে। সেই সঙ্গে বয়স বাড়লে শরীরের নিজস্ব প্রতিরোধ শক্তিও দু্র্বল হয়ে পড়ে। তবে বয়সকালে সুস্থ থাকতেও কম বয়সের প্রাত্যহিক জীবনে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি। হালকা শরীরচর্চা, নিয়মিত হাঁটাচলার পাশাপাশি মানসিক উদ্বেগ থেকে মুক্ত থাকা প্রয়োজন। সঙ্গে খাওয়াদাওয়ায় একটা বিধিনিষেধ অবশ্যই মেনে চলা প্রয়োজন। তবে বয়সকালে সুস্থ থাকতে কী কী খাবেন, সেটা জানার চেয়েও বেশি জরুরি কোনগুলি খাবেন না। সুস্থ থাকতে জেনে রাখতে পারেন।
১) বয়স বাড়লে ঘি এবং মধু কখনও একসঙ্গে খাবেন না। এতে বদহজম, গ্যাসের সমস্যা মারাত্মক আকারে দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যাঁরা গ্যাস-অম্বলের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের বাড়তি সাবধানতা মেনে চলতে হবে।
২) ঘোল, লস্যি বা অন্যান্য দুগ্ধজাত খাবারের সঙ্গে কলা এড়িয়ে চলুন। দুধের সঙ্গে গলা খেলে এমনিতেই অম্বলের ঝুঁকি থাকে। তবে কম বয়সে হজমক্ষমতা বেশি থাকায় এই অনিয়ম শরীর মেনে নেয় মাঝেমাঝে। কিন্তু বার্ধক্যে এই ঝুঁকি না নেওয়াই শ্রেয়।
৩) ঠান্ডা ও গরম খাবার একসঙ্গে খাবেন না। চা, কফি খাওয়ার পরের মুহূর্তে, শরবতের মতো ঠান্ডা পানীয় খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
৪) সকাল এবং দুপুরের খাবারের মধ্যে অন্তত ৬ ঘণ্টার ফারাক রাখুন। সময় মেপে না খেলে হজমের গোলমাল দেখা দিতে পারে। তা ছাড়া খাবার হজম হওয়ারও সময় দিতে হবে। না হলেই মুশকিল।
৫) খাবার খাওয়ার সময় অল্প অল্প জল খান। এই অভ্যাস দ্রুত হজম করতে সাহায্য করবে। তবে খেতে খেতে বেশি পরিমাণে জল খেলে সমস্যা বাড়তে পারে।