অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ কিডনির ক্ষতি করে। ছবি- প্রতীকী
মানবদেহে রেচনতন্ত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল কিডনি। কিডনির প্রধান কাজ হল রক্তে থাকা দূষিত পদার্থ ছেঁকে বের করা। এ ছাড়াও কিডনি রক্তে লবণ এবং পটাশিয়ামের ভারসাম্য রক্ষা করে, ক্যালসিয়াম শোষণেও সহায়তা করে। দীর্ঘ দিন ধরে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ কিডনির ক্ষতি করে। কিডনি ঠিক মতো কাজ না করলে নানা রকম শারীরিক জটিলতার সৃষ্টি হয়।
কিডনির অসুখ ধরা পড়ে অনেক দেরিতে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, দুটি কিডনিই ৮০-৯০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর আমরা বুঝতে পারি। ওজন কমে যাওয়া, খিদে না পাওয়া, ক্লান্তি, গোড়ালি ফোলা, প্রস্রাবে রক্ত, অনিদ্রা, চুলকানি, পেশিতে খিঁচুনি এবং মাথাব্যথার মতো লক্ষণগুলিকে কখনওই অবহেলা করা উচিত নয়। একটা বয়সের পর থেকেই নিয়মিত কিডনির যাবতীয় পরীক্ষা করানো উচিত।
সময় থাকতে সনাক্ত করা গেলে, কিছুটা হলেও কিডনির রোগ ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব। ছবি- সংগৃহীত
একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ভারতে প্রতি বছর ১৫ থেকে ৬৯ বছর বয়সের মধ্যে মোট মৃত্যুর তিন শতাংশেরও বেশি মানুষ কিডনির রোগে মারা যান। এ ছাড়াও, ভারতে প্রতি বছর প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ কিডনির অসুখ নিয়ে হাসপাতালে আসেন। যা বেশিরভাগই ঘটে সচেতনতার অভাবে।
তবে চিকিৎসকদের মতে সময় থাকতে এই রোগ যদি সনাক্ত করা যায়, তবে কিছুটা হলেও এই রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এ ছাড়াও নিয়মিত শরীরচর্চা করা, ব্যায়াম করা, খাবারে অতিরিক্ত নুন না খাওয়া, কিছুটা হলেও রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এবং ডায়াবিটিস আক্রান্তদের ক্ষেত্রে নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা পর্যবেক্ষণ করা এবং ওষুধ দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করাই কিডনির রোগ ঠেকানোর একমাত্র উপায়।