দূষণের মাত্রা সব চাইতে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে মানুষের ত্বকে
আমাদের দেশের জলবায়ু অনুযায়ী, শীতকাল শুরু হলেই দূষণের মাত্রা বাড়ে অল্প অল্প করে, কিছুটা হয়তো চোখের আড়ালেই। এর সরাসরি এবং সবচাইতে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে মানুষের ত্বকের উপর। কারণ এই সময়ে হাত, পা আর ঠোঁট ফাটা নিয়ে যতটা আমরা উদ্বিগ্ন হই, ত্বকের সামগ্রিক পরিচর্যা নিয়ে ততটা নয়। ফলে ত্বকের উপরে লোমকূপের উপর ময়লা জমে গিয়ে দাগ, ব্রণ, বলিরেখা, ইত্যাদি তৈরি হয়। তা ছাড়া ত্বকের উপরে দূষণজনিত জমা এই ময়লা ত্বকে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পৌঁছতে দেয় না, ফলে ত্বকের প্রাকৃতিক ঔজ্জ্বল্য হ্রাস পেতে থাকে।
দিনের পর দিন এই প্রক্রিয়া চলতে থাকলে শরীর বিশেষ করে মুখে ছাপ পড়ে যায় অকালবার্ধক্যের। এই সম্ভাবনা রোধ করতে ত্বক বিশেষজ্ঞরা কিছু উপায় বাতলে স্বস্তি দিয়েছেন আমাদের।
১। জল পান করুন। জল শরীরের অতিরিক্ত টক্সিন বার করে দেয় এবং ত্বকের ক্লান্তি কাটিয়ে সতেজতা ফিরিয়ে আনে। শীতে জল পানের মাত্রা অনেকটাই কমে আসে। সেই দিকে বিশেষ নজর রেখে জল পান করলে ত্বকের স্বাস্থ্য থাকবে ভাল।
ত্বকের সামগ্রিক পরিচর্যা
২। ঘুমানোর আগে ত্বকে লাগানো সব প্রসাধনী তুলতে ভুলবেন না। শীত মানেই উৎসবের মরসুম। সেজেগুজে তা উপভোগ করে অনেক সময়েই আমরা ত্বকের উপর লাগানো মেকআপ না তুলেই ঘুমিয়ে পড়ি। ফলে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পেতে পারে না আমাদের শরীরের সবচেয়ে উপরের দিকের অংশটি। ঘুমানোর আগে তাই একটু সময় নিয়ে সমস্ত প্রসাধনী তুলে তবেই শোয়া প্রয়োজন।
৩। দিনে অন্তত দু’বার মুখ ধোয়ার সাবান দিয়ে প্রতিদিনই মুখ ধোয়া প্রয়োজন। যাতে সারা দিনের ধুলো, ধোঁয়া, ময়লা বেরিয়ে গিয়ে মুখের উপর কোনও তৈলাক্ত আবরণ জমে থাকতে না পারে। একই সঙ্গে সপ্তাহে অন্তত দু’বার ব্যবহার করুন প্রাকৃতিক কোনও এক্সফোলিয়েটর। যাতে লোমকূপের ময়লাও ত্বকে বাসা না বাঁধতে পারে একদম।
৪। ব্যবহার করুন অ্যালো ভেরা। প্রাকৃতিক ভাবে অ্যালো ভেরা গাছের পাতার শাঁস দু’-তিন দিন অন্তর মুখের ত্বকে এবং চুলে লাগালে ত্বকের সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যবান থাকবে চুলও। গাছের পাতা না মিললে ব্যবহার করতে পারেন কোনও সংস্থার রাসায়নিক মুক্ত অ্যালো ভেরা জেলও। শীতকালের ত্বক পরিচর্যায় এর জুড়ি মেলা ভার।