মানসিক অবসাদ ও হৃদ্রোগ কি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত ছবি: সংগৃহীত
শরীরের সামগ্রিক সুস্থতায় ক্রমেই গুরুত্ব বাড়ছে মানসিক স্বাস্থ্যের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানসিক অবসাদ শুধু মনেই সীমাবদ্ধ থাকে না। অবহেলা করলে মানসিক অবসাদ ডেকে আনতে পারে বেশ কিছু বিপজ্জনক রোগ। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে মানসিক অবসাদ সংবহনতন্ত্রের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে, বাড়িয়ে দিতে পারে হৃদ্রোগের ঝুঁকিও।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
স্পেনের গ্রানাডা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক জানাচ্ছেন, মানসিক অবসাদ ও হৃদ্রোগের ‘রিস্ক ফ্যাক্টর’গুলির মধ্যে বেশ কিছু সাদৃশ্য রয়েছে। প্রসঙ্গত, যে যে বিষয়গুলি কোনও একটি নির্দিষ্ট রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়, সেগুলিকে সংশ্লিষ্ট রোগটির ‘রিস্ক ফ্যাক্টর’ বলা হয়। গবেষকরা বলছেন, মানসিক অবসাদ ও হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা দুই ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, প্রদাহ ও কোষের জারণ ঘটিত চাপ বাড়িয়ে দেয় রোগের ঝুঁকি। তাই একটি সমস্যা অন্যটির ক্ষেত্রে অনুঘটকের কাজ করতে পারে।
৬৫৪৫ জন ব্যক্তির উপর করা এই গবেষণাটি চলেছে প্রায় ৬ বছর ধরে। ৫৫ থেকে ৭৫ বছর বয়সি পুরুষ ও ৬০ থেকে ৭৫ বছর বয়সি নারীদের উপর এই গবেষণা চালানো হয় বলে খবর। অংশগ্রহণকারীদের সকলেই স্থূলতায় আক্রান্ত হলেও, কারওই পূর্ববর্তী হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা ছিল না। গবেষণায় দেখা গিয়েছে দু’বছর সময়ের ব্যবধানে যাঁদের মানসিক অবসাদের মাত্রা বেশি, তাঁদের হৃদ্যন্ত্রের সমস্যায় মাঝারি থেকে অতিরিক্ত বেশি ঝুঁকি দেখা যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কোলেস্টেরলের গড় হারও বেশি দেখা গিয়েছে মানসিক অবসাদের রোগীদের মধ্যে। তবে এই সমীক্ষা মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্বের উপর আলোকপাত করলেও এ বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে মত বিশেষজ্ঞদের।