এই রেলপথগুলি মন কেড়ে নিতে পারে সৌন্দর্যে ছবি: সংগৃহীত
ভারতীয় রেল গোটা বিশ্বেরই অন্যতম বৃহৎ রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। সড়ক ও বিমান ব্যবস্থার প্রসারের পরেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছতে এখনও সবচেয়ে জনপ্রিয় পরিবহণ মাধ্যম রেলই। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে এমন সব রেলপথ, যা শুধু পরিবহণের মাধ্যম হিসাবেই নয়, মন কেড়ে নিতে পারে সৌন্দর্যেও।
মারগাঁও থেকে মুম্বই ছবি: সংগৃহীত
১। মারগাঁও থেকে মুম্বই: এক দিকে সহ্যাদ্রির সবুজ পাহাড়তলি অন্য দিকে আরব সাগরের নীল জলরাশি— মারগাঁও থেকে মুম্বই যাওয়ার কোঙ্কন রেলের এই পথটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পূর্ণ। শুধু পাহাড় বা সমুদ্রই নয় রয়েছে একাধিক জলপ্রপাত, সুড়ঙ্গ, সুবিস্তৃত ধানের জমি ও নারকেল গাছের সারি।
কালকা থেকে সিমলা ছবি: সংগৃহীত
২। কালকা থেকে সিমলা: কালকা থেকে সিমলার মধ্যে যে ট্রেনটি চলে, তার নাম ‘হিমালয়ান কুইন’ বা হিমালয়ের রানি। ট্রেনটিতে উঠলে বোঝা যাবে যে নামটি মোটেও অত্যুক্তি নয়। পাইনের জঙ্গল ও অসংখ্য সুড়ঙ্গ মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে হিমালয়ের রূপ দর্শনের বিরল অভিজ্ঞতা মিলবে এই রেলপথে। রয়েছে অনেকগুলি পাহাড়ি সেতুও।
যোধপুর থেকে জয়সলমীর ছবি: সংগৃহীত
৩। জোধপুর থেকে জয়সলমীর: রাজকীয় কেতায় ট্রেন ভ্রমণ করতে চান? চড়তে পারেন জোধপুর থেকে জয়সলমীরের মধ্যে ‘ডেজার্ট কুইন’ নামক ট্রেনে। এটি দেশের অন্যতম সবচেয়ে বিলাসবহুল ট্রেন। ওয়াইনে চুমুক দিতে দিতে যাত্রীরা দিগন্ত বিস্তৃত মরুভূমিতে দেখতে পারবেন সূর্যাস্ত।
মন্দপম থেকে রামেশ্বরম ছবি: সংগৃহীত
৪। মন্দপম থেকে রামেশ্বরম: মন্দপম থেকে রামেশ্বরমগামী পথে চলে ‘সেতু এক্সপ্রেস’। এই রেলপথটি এমন একটি সেতুর উপর দিয়ে যায়, যা সমুদ্রের জলরাশির উপর অবস্থিত।
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিং ছবি: সংগৃহীত
৫। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিং: ভারতের সবচয়ে সুন্দর রেলপথগুলির মধ্যে অবশ্যই উপরের দিকে থাকবে দার্জিলিংগামী টয়ট্রেন। এই রেলপথ ইউনেস্কো হেরিটেজ সাইটেরও অন্তর্ভুক্ত। ঘুম থেকে বাতাসিয়া লুপ ঘুরতে ঘুরতে পর্যটকরা দেখতে পাবেন কাঞ্চনজঙ্ঘা।