প্রতীকী ছবি।
রাতের ঘুম যে খুব জরুরি সে কথা নানা ভাবে বিভিন্ন জায়গায় বলা হয়ে থাকে। দিনে কত ঘণ্টা ঘুম ছাড়া একেবারেই চলবে না, তা ব্যক্তি বিশেষে নির্ধারিত হয়। কিন্তু শরীর সুস্থ রাখার জন্য যে অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুম হওয়া অতি গুরুত্বপূর্ণ, তা জানানো হয়েই থাকে। কিন্তু তা হয় না অনেকেরই। কাজের ধরনে পরিবর্তন থেকে সহজলভ্য বিনোদন ব্যবস্থা, ঘুম কমে যাওয়ার কারণ সবই। তবে তার জেরে কী ক্ষতি হচ্ছে, সে কথা জানা দরকার।
কম ঘুম হওয়ার কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিশেষ করে যাদের ডায়াবিটিস রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়। কেন? ঘুম কম হলে শরীরে ইনস্যুলিনের মাত্রা ওঠা-নামা করে। ঠিক থাকে না। তার জেরেই রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে ওঠে। তার উপরে রক্তচাপও বেড়ে যেতে পারে দিনের পর দিন ঘুম কম হলে।
প্রতীকী ছবি।
আরও একটি সমস্যা দেখা দিতে পারে ঘুম কম হলে। তা হল, রাতের পর রাত জেগে থাকার সময়ে অনেকের খিদে পায়। আর এ সময়ে মোটেও স্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে মন যায় না। বরং কার্বোহাইড্রেট আর ফ্যাটে ভর্তি খাবারই খেতে ইচ্ছা করে বেশির ভাগের। সে কারণে মোটা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। যা উল্টে ডায়াবিটিস বাড়িতে দিতে পারে।
ফলে শরীর ডায়াবিটিসমুক্ত রাখতে হলে সবার আগে ঘুম নিয়ম ঠিক রাখা দরকার।