শিশুর চোখের যত্ন নেবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত
বছর ১৫ আগেও এত আধুনিক প্রযুক্তির দাসত্ব করতে হত না আমাদের। টিভি থাকলেও ঘরে ঘরে কম্পিউটার ছিল না। আর স্মার্টফোন তখন নিছকই এক কল্পবিজ্ঞানের গল্পের মতো! বাচ্চাদের কাছে পড়াশোনা মানেই বই-খাতা। কিন্তু সেই ‘হার্ড কপি’-র যুগ পেরিয়ে তড়িৎগতিতে খানিকটা করোনার ঠেলাতেই আমরা পৌঁছে গিয়েছি ‘সফ্ট কপি’-র যুগে। এখন ক্লাস অনলাইনে, পড়ার বইও অনেক ক্ষেত্রেই পড়তে হচ্ছে ই-ভার্সনে। ল্যাপটপ-ডেস্কটপ কিংবা স্মার্টফোনে বন্দি শৈশব। অতএব শিশুদের চোখের সমস্যা বাড়ছে। অকালেই নাকে উঠছে চশমা।
কবে থেকে চোখ দেখানো জরুরি?
শরীরের যত্নের মতো চোখের যত্নও নেওয়া দরকার। তাই কম বয়স থেকেই বাচ্চার নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা করা দরকার। ছ’মাস বয়সে বাচ্চাকে প্রথম চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যান। তারপর বাচ্চা যখন স্কুলে ভর্তি হবে, তখন একবার চোখ দেখিয়ে নিন। বাচ্চার ছ-বছর বয়স হওয়ার আগে আর একবার চোখ দেখানো দরকার। এরপর থেকে প্রতি দু’বছর অন্তর চোখ দেখান।
কোন বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বেশি সতর্ক থাকতে হবে?
অনেক সময় পরিবারে কারও চোখের সমস্যা থাকলে, তা বাচ্চার মধ্যেও সঞ্চারিত হতে পারে। এরকম আশঙ্কা থাকলে বাচ্চাকে অবশ্যই চক্ষুবিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যান। আবার ‘প্রিম্যাচিওর বেবি’-র ক্ষেত্রে চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে, তাই চিকিৎসক দেখিয়ে নেওয়া দরকার।
কোন ধরনের সমস্যা দেখলে সাবধান হবেন?
কোন ধরনের সমস্যা হলে বুঝবেন চোখ দেখাতেই হবে?
দীর্ঘ ক্ষণ ল্যাপটপের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে পড়াশোনা করলে অনেক সময় চোখ লাল হয়ে যায় কিংবা চোখ দিয়ে অনবরত জল পড়তে থাকে। সে ক্ষেত্রে তাড়াতাড়ি চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যেতে হবে। অনেক সময়ই বাচ্চা দূরের জিনিস দেখতে পায় না। কিন্তু ওরা সেটা সম্পর্কে সচেতন নয়। তাই বাচ্চার দূরের জিনিস দেখতে অসুবিধে হচ্ছে কি না জানতে চান। অসুবিধে দেখা দিলে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। বাচ্চার যদি খুব ঘন ঘন মাথা ব্যথা হয়, সেটিও কিন্তু চোখ খারাপের উপসর্গ হতে পারে। সেই রকম সমস্যা হলেও চক্ষু বিশেষজ্ঞ দেখানো দরকার।