স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায় কোন অভ্যাস? ছবি: শাটারস্টক
স্তন ক্যানসার। তিরিশ পেরোনো ভারতীয় মহিলাদের এর থেকে বড় ভয় সম্ভবত আর কিছু নেই। চিকিৎসকরা বলছেন, স্তন ক্যানসারের ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয়ের চাবিটি থাকে আক্রান্তের কাছেই। তাঁদের মতে ‘সেল্ফ ডিটেকশন’-এর বিকল্প নেই এ ক্ষেত্রে। ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে ক্রমশই এই রোগের প্রভাব বাড়ছে।
চিকিৎসকদের মতে, এ দেশে ইদানীং স্তন ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এ দেশে ৩০-৫০ বছর বয়সিরা এই অসুখের শিকার হচ্ছেন সবচেয়ে বেশি। বয়স ২৫ পেরোলেই, অস্বস্তি থাক বা না থাক, চিকিৎসকদের কাছে এসে বছরে এক বার স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো উচিত। রোজের কিছু অভ্যাস এই ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। কোন ৫ কারণে বৃদ্ধি পেতে পারে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা?
১) বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা: শরীরে অতিরিক্ত ওজন স্তন ক্যানসারের অন্যতম কারণ। বিভিন্ন কারণে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। বাইরের তেল-ঝাল-মশলা জাতীয় অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস তার মধ্যে অন্যতম। শরীরে ওজন বয়স এবং উচ্চতা অনুযায়ী স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি হয়। ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা তাই জরুরি। তার জন্য প্রয়োজন পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। সুস্থ জীবনযাপনের পদ্ধতি মেনে চলা। যথাসম্ভব বাইরের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা।
২) নিয়ম করে শরীরচর্চা না করা: দৈনন্দিন জীবনযাপনে সুস্থ থাকতে নিয়ম করে শরীরচর্চা করার কোনও বিকল্প নেই। শারীরিক ক্রিয়াকলাপ শুধু ক্যানসার নয়, অন্যান্য অনেক রোগেরও আশঙ্কা কমায়। স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে প্রতি দিন অন্তত প্রায় ঘণ্টাখানেক ব্যায়াম, যোগাসন, প্রাণায়াম করা প্রয়োজন।
ক্যানসার প্রতিরোধে মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করার বিকল্প কিছু নেই। ছবি: শাটারস্টক
৩) নিয়মিত মদ্যপান: মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে অনেকেই ভরসা রাখেন মদ্যপানে। দীর্ঘ দিন ধরে মদ্যপানের অভ্যাস স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এ ছাড়াও সুস্থ জীবনধারা বজায় রাখতে মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করা থেকে বিরত থাকাই বাঞ্ছনীয়।
৪) ধূমপানের অভ্যাস: ক্যানসার প্রতিরোধে মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করার বিকল্প কিছু নেই। স্তন ক্যানসার হোক বা ফুসফুস— মাত্রাতিরিক্ত তামাক, অ্যালকোহলের প্রভাবেই মূলত এই ধরনের মারণব্যাধির শিকার হতে হয়। দীর্ঘ দিনের এই অভ্যাস এখন ত্যাগ করলে ক্ষতিপূরণ করা যাবে, এমন নয়। তবে যতটুকু ক্ষতি হয়েছে, তা আর বৃদ্ধি পাবে না।
৫) রাসায়নিক দ্রব্যের সংস্পর্শে আসা: ত্বকের যত্ন নিতে, রূপটান করতে অনেকেই ভরসা রাখেন বাজারচলতি নামীদামি প্রসাধনীর উপর। এই প্রসাধন সামগ্রীগুলির রং, রূপ, গন্ধ বৃদ্ধি করতে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়। যেগুলি একেবারেই ত্বকের জন্য ভাল নয়। দীর্ঘ সময় ধরে এই রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত প্রসাধনী ব্যবহার করার ফলে শরীরের অন্দরে ছড়িয়ে পড়ে রাসায়নিক উপাদানগুলি। নিঃশব্দে বাড়তে থাকে ত্বকের ক্যানসার, স্তন ক্যানসারের আশঙ্কা।