হাঁটাহাঁটি করার সময়ে, সিঁড়ি ভাঙার সময়ে কিংবা হাঁটু ভেঙে বসার সময়ে মটমট শব্দ অনেকেই শোনেন। ছবি: শাটারস্টক
হাত দিয়ে আঙুলের গাঁট মটকালে অনেক সময়েই ‘টক’ করে শব্দ হয়। কিন্তু নিজে থেকে মটকানো ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন হাড় বা গাঁটে মটমট করে শব্দ হয় মাঝেমাঝেই। হাঁটাহাঁটি করার সময়ে, সিঁড়ি ভাঙার সময়ে কিংবা হাঁটু ভেঙে বসার সময়ে এ রকম শব্দ অনেকেই শোনেন। কেবল বয়স্কদেরই এমনটা হয় না, অল্পবসয়িদেরও অনেক সময় এই সমস্যা হতে পারে। এর সঙ্গে হাঁটুতে ব্যথাও হয়।
চিকিৎসকদের পরিভাষায় একে কন্ড্রোম্যালাসিয়া প্যাটেলা বলা হয়। এর ফলে মালাইচাকির তরুণাস্থির আস্তরণ রুক্ষ হয়ে যায়। ফলে হাঁটুর হাড়গুলিতে ঘর্ষণ হয়। এর থেকেই ব্যথা বাড়ে।
দীর্ঘ সময় ধরে একই জায়গায় বসে থাকা কিংবা শরীরচর্চায় অনীহার কারণে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই রকম ব্যথা দেখা যায়। অনেক সময়ে আবার ফিটনেস-উৎসাহীদের ক্ষেত্রে উপযুক্ত ওয়ার্মআপ এবং স্ট্রেচিং ছাড়াই কঠোর শরীরচর্চায় লেগে পড়লেও কন্ড্রোম্যালাসিয়া প্যাটেলায় আক্রান্ত হতে পারেন। এই সমস্যায় ভুগলে পরবর্তী কালে খেলতে গেলে কিংবা দৌড়তে গেলে হাড়ের ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
গাঁটে যদি ব্যথা বা জ্বালা না করে, তা হলে এই গাঁট বা হাড়ে শব্দ হওয়া নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।
কী করবেন?
হাঁটুর গাঁটেই সবচেয়ে বেশি শব্দ হয়। তবে কখনও কখনও পিঠ, ঘাড় ও কাঁধের হাড়েও মট মট করে শব্দ হতে পারে। যদি গাঁটে ব্যথা বা জ্বালা না করে, তা হলে এই গাঁট বা হাড়ে শব্দ হওয়া নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। মূলত পেশি ও গাঁটের নমনীয়তা একটু কম থাকলেই এই সমস্যা হয়। দীর্ঘ ক্ষণ এক ভঙ্গিতে থাকলে বা একটানা দাঁড়িয়ে থাকার পরই গাঁট মটকাতে পারে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে স্ট্রেচিং করতে পারেন। তবে কোনও পুরনো আঘাত লাগা স্থানে এই সমস্যা দেখা দিলে এক বার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সমস্যা বাড়লে হাঁটু প্রতিস্থাপন করারও প্রয়োজন হতে পারে।