কেন্দ্রের নির্দেশিকাতেও ঠাঁই হয়নি ককটেল থেরাপির। ছবি: সংগৃহীত
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প থেকে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, একাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তি কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পর যে বিশেষ ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতির কথা বারবার শোনা গিয়েছে, তা হল ককটেল থেরাপি। তাই অনেকেরই ধারণা কোভিড আক্রান্ত হলেই এই চিকিৎসা পদ্ধতি হয়ে উঠতে পারে বিশল্যকরণী। বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন মোটেই ঠিক নয় এই ধারণা।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
ককটেল থেরাপি আদতে দুটি মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডির মিশ্রণ— ক্যাসিরিভিম্যাব ও ইমডেভিম্যাব। এই দুটিই একটি বিশেষ ধরনের অ্যান্টিবডি যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ইমিউনোগ্লোবিউলিন জি ওয়ান। এগুলি ভাইরাসকে কোষের ভিতর প্রবেশ করতে বাধা দেয়। ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন নামক বিশেষ অংশের উপর কাজ করে এই ধরনের অ্যান্টিবডি। দুটি অ্যান্টিবডি একসঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয় বলেই এর নাম ককটেল অ্যান্টিবডি থেরাপি।
তবে ডেল্টার মতো কোভিডের পূর্ববর্তী রূপগুলির ক্ষেত্রে কাজ করলেও ওমিক্রনের ক্ষেত্রে যে এই পদ্ধতি কাজ করে না তা নিয়ে কার্যত নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। আনন্দবাজার অনলাইনের ফেসবুক ও ইউটিউব লাইভ-এর ‘ভরসা থাকুক’ অনুষ্ঠানে এমনটাই জানালেন প্রখ্যাত চিকিৎসক সৌতিক পান্ডা। ঘটনাচক্রে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ককটেল চিকিৎসা হয়েছিল তাঁর তত্ত্বাবধানেই। সৌতিক বাবুর মতে, ওমিক্রনের স্পাইক প্রোটিনের পরিব্যাপ্তির কারণেই এই রূপটির বিরুদ্ধে কার্যকর নয় ককটেল থেরাপি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘যেহেতু স্পাইক প্রোটিনে ৩২টি মিউটেশন হয়ে গিয়েছে তাই এই ককটেল ওমিক্রনে কাজ করবে না।’’
যেহেতু এই পদ্ধতিটি বেশ ব্যয়বহুল এবং বর্তমান কোভিড আক্রান্তদের অধিকাংশই ওমিক্রন আক্রান্ত তাই কিছু ব্যতিক্রম থাকলেও বর্তমানে এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে খুব একটা আগ্রহী নন চিকিৎসকরা। সদ্য প্রকাশিত কেন্দ্রীয় নির্দেশিকাতেও বাদ দেওয়া হয়েছে এই ককটেল থেরাপিকে।