শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ছবি: সংগৃহীত
দেশ এবং রাজ্যে জুড়ে ফের উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে করোনা সংক্রমণ। দৈনিক সংক্রমণের হারটাও বেশ ভীতিজনক। তবে এই পর্যায়ের করোনা-স্ফীতিতে শারীরিক উপসর্গগুলি বাড়াবাড়ি রকমের কিছু নয়।ফলত অধিকাংশ রোগী বাড়িতেই নিভৃতবাসে কাটাচ্ছেন। এই অদেখা করোনা ভাইরাস নামক শত্রুর সঙ্গে লড়তে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও শক্তিশালী করতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন সুষম খাবার, পর্যাপ্ত পুষ্টির।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অতিমারি পরিস্থিতিতে পুষ্টিকর খাবার স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে সক্ষম। বিশেষ করে, কোভিডে আক্রান্ত রোগীদের দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার থাকাটা খুবই জরুরি।
করোনা আবহে শরীর সুস্থ রাখতে প্রোটিনের ভূমিকা
প্রোটিন মানবদেহের একটি অপরিহার্য ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট। যেকোনও রকম ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে শরীরকে ভিতর থেকে তৈরি করে এই উপাদানটি। দেহের বিভিন্ন কোষগুলি সজীব রাখতেও সাহায্য করে।
ছবি: সংগৃহীত
করোনা রোগীদের জন্য প্রোটিন কতটা জরুরি?
শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে শরীরের অত্যন্ত কার্যকর উপাদান ইমিউনোগ্লোবুলিনের পরিমাণও হ্রাস পায়। ফলে করোনা খুব সহজে থাবা বসাতে পারে শরীরে। পুষ্টির ঘাটতি শুধু করোনা নয়, করোনা এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার যৌথ সংস্করণ ফ্লুরোনা সংক্রমণের আশঙ্কাও বাড়িয়ে তোলে। তাই করোনা আক্রান্ত হলে অতি অবশ্যই রোজের খাদ্যাভ্যাসে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখতে ভুলবেন না।
সুস্থ থাকতে শরীরে কতটা প্রোটিন প্রয়োজন?
শরীরের ওজনের প্রতি কিলোগ্রামে ০.৮ গ্রাম প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। লিঙ্গ, বয়স, শারীরিক অবস্থার উপর প্রোটিনের পরিমাণ নির্ভর করে। তবে এই অতিমারি পরিস্থিতিত্র কোভিড রোগীদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিকের তুলনায় প্রোটিনের পরিমাণ খানিক বাড়ানো যেতে পারে।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার কোনগুলি?
দুগ্ধজাতীয় খাবার, মাংস, বিনস, লেটুসের মতো বিভিন্ন শাক-সব্জি, বাদাম ইত্যাদি খাবারগুলিতে থাকে ভরপুর প্রোটিন। করোনা আক্রান্ত হলে বা এই সময় সুস্থ থাকতে রোজের খাদ্যতালিকায় রাখুন এই খাবারগুলি।