মাথাব্যথার অনুষাঙ্গিক অন্য কোনও সমস্যা দেখা দিলে আগে থেকে সাবধান হওয়া জরুরি। ছবি-সংগৃহীত
সামান্য মানসিক চাপ পড়লেই মাথা দপদপ, রগের দু’পাশ ধরে যন্ত্রণা, নইলে মাথা-ঘাড় জুড়ে ব্যথা। মাইগ্রেন বা সাইনাস না থাকলেও এই রকম মাথা যন্ত্রণার শিকার হয়ে থাকেন অনেকেই। মাথাব্যথা কিন্তু শরীরের অন্য কোনও সমস্যার ইঙ্গিতও বহন করে। তাই মাথাব্যথার আনুষঙ্গিক অন্য কোনও সমস্যা দেখা দিলে আগে থেকে সাবধান হওয়া জরুরি।
সর্দিতে মাথা যন্ত্রণা হওয়া আর মাঝে মাঝেই মাথাব্যথায় কাবু হয়ে পড়া এক জিনিস নয়। মাথা যন্ত্রণার সঙ্গে ঝাপসা দেখা বা চোখ থেকে জল পড়ার মানে দৃষ্টিশক্তির সমস্যাও হতে পারে। অনেকেরই মাথার সঙ্গে ঘাড়ে ব্যথা, গা-বমি ভাব, এ সবও হয়ে থাকে। এ সব উপসর্গ মাইগ্রেনের ইঙ্গিত।
অনেকেই মাথা যন্ত্রণা কমাতে প্যারাসিটামল বা বেদনানাশক ওষুধ খান। যখন তখন সে সব ওষুধ খাওয়া শরীরের পক্ষে মোটেই ভাল নয়।
অনেকেরই মাথার সঙ্গে ঘাড়ে ব্যথা, গা-বমি ভাব, এ সবও হয়ে থাকে। ছবি-সংগৃহীত
তাই চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে, কয়েকটি উপায় মেনে চললেও মাথা যন্ত্রণা থেকে মিলতে পারে মুক্তি।
১) মাথা যন্ত্রণা হলেই চা বা কফির উপর নির্ভর করেন অনেকেই। অনেকের ধারণা, চা বা কফি মাথাব্যথা সারায়। আসলে কফিতে থাকা ক্যাফিন স্নায়ুকে উদ্দীপ্ত করে, ফলে ব্যথা কমেছে বলে মনে হয়। সে ধারণা ভুল। উল্টে মাথাব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে ক্যাফিন।
২) মাথা যন্ত্রণার বাড়াবাড়ি হলে কখনও কাজের মধ্যে থাকবেন না। সম্ভব হলে অন্ধকার ঘরে চোখ বুজে বসে থাকুন। আধ ঘণ্টা চোখ বুজে বিশ্রাম নিন। এই সময়টুকু মোবাইল বা টিভি দেখবেন না।
৩) পারফিউম, ধূপধুনো বা রুম ফ্রেশনারের উগ্র গন্ধ থেকেও মাথা যন্ত্রণার সূত্রপাত হতে পারে। এমন হলে সে সব গন্ধ থেকে এই সময়টা দূরেই থাকুন। সাবান, ময়শ্চারাইজারের গন্ধও এড়িয়ে চলুন এই সময়।
৪) মাথা যন্ত্রণার ঘন ঘন প্রভাব এড়াতে ফিটনেস বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করুন। মাথা যন্ত্রণা কমার কিছু মালিশ আছে। সেগুলি মাথাব্যথার সময় করতে পারেন। স্বস্তি পাবেন। রোজের শরীরচর্চার অভ্যাসে মাথা যন্ত্রণা-সহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দূর হয়।