দুর্গাপুজোয় মিষ্টিমুখ না করলে কি আর পুজো পুজো ভাব আসে? ছবি-প্রতীকী
উৎসবের মরসুম মানেই দেদার খাওয়া-দাওয়া। আর দুর্গাপুজোয় মিষ্টিমুখ না করলে কি আর পুজো পুজো ভাব আসে? তাই ওই ক’দিন ডায়েটে একটু অনিয়ম হয়েই থাকে। তবে যাঁদের ডায়াবিটিস আছে তাঁদের কিন্তু এই সময়েও সাবধানতা মেনে চলতে হবে।
ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। বাড়ে সংক্রমণের আশঙ্কা। অন্য রোগও বাসা বাঁধতে শুরু করে অজান্তেই। প্রভাব পড়ে হৃদ্যন্ত্রে, কিডনিতে, যকৃতে। এক বার এই রোগে আক্রান্ত হলে তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি। চিনি খেলেই যে ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হবেন, এমন কোনও মানে নেই। তবে, এক বার এই রোগ শরীরে হানা দিলে চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবারের উপর নিয়ন্ত্রণ না রাখলেই বিপদ। তাই উৎসবের মরসুমেও থাকতে হবে সতর্ক। চেষ্টা করেও মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাসে লাগাম টানতে পারছেন না? কী ভাবে রোজের ডায়েট থেকে চিনি বাদ দেবেন?
১) পুজোর দিনে মিষ্টি খাওয়া হবেই তাই চা ও কফিতে চিনি এবং ক্রিম-সহ দুধ মেশানো সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিন। ভেষজ চা খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
২) রোজের রান্নায় চিনি দেওয়া বন্ধ করুন। চিনির পরিবর্তে গুড় দিলেও চলবে না।
৩) প্যাকেটজাত ফলের রসের পরিবর্তে বাড়িতে ফলের রস বানিয়ে খান। খুব ভাল হয় যদি গোটা ফল খেতে পারেন।
৪) ব্রাউন সুগার, চিনির বিকল্প কৃত্রিম মিষ্টি, কর্ন সিরাপ, ম্যাপেল সিরাপ, মধু, গুঁড়ো দুধ— সবেতেই চিনি থাকে। তাই এ সব খাবার বন্ধ করুন।
পুজোর দিনে মিষ্টি খাওয়া হবেই। ছবি-প্রতীকী
৫) বাজার থেকে সস্ কেনার সময়ে খেয়াল করুন যাতে তাতে অতিরিক্ত চিনি না থাকে। ঘরোয়া রান্নায় সসের ব্যবহার না করলেই ভাল হয়। উৎসবের দিনে বাইরে খেলেও সস্ খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
৬) ডায়েটে বেশি করে প্রোটিনজাতীয় খাবার রাখুন। প্রোটিন খেলে ভুলভাল খাওয়ার ইচ্ছে কম হয়।
৭) খুব বেশি মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করলে খেজুর, কিশমিশ অল্প পরিমাণে খেতে পারেন।
৮) পুজোয় ঠাকুর দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে গেলে ঠান্ডা নরম পানীয় নয়, খেতে হবে ডাবের জল, ফলের রস।