সব্জির রসেই জব্দ হতে পারে পেটের মেদ। ছবি: সংগৃহীত।
জিমে ভর্তি হওয়ার সময়ে বাড়ির লোকেরা পই পই করে বারণ করেছিলেন। কিন্তু সে কথা এক রকম অগ্রাহ্য করেই একগাদা টাকা দিয়ে পাড়ার জিমে গোটা বছরের জন্য সদস্য হয়েছেন। ভর্তি হওয়ার আগে উৎসাহ, উদ্দীপনার তো অভাব থাকে না। তার উপর নানা রকম ছাড়ের প্রলোভনও থাকে। কিন্তু এই গরমে কিছুতেই সেখানে গিয়ে উঠতে পারছেন না। আজ যাই, কাল যাই করে এক একটা দিন চলে যাচ্ছে। এ দিকে, অফিসেও সারা ক্ষণ বসে কাজ। ইচ্ছে থাকলেও এসি থেকে বেরিয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করতে পারছেন না। লিফ্টের বদলে যে সিঁড়ি দিয়ে উঠবেন, তা ভাবতেই কেমন যেন কষ্ট হচ্ছে! এ দিকে বাড়তে থাকা ‘মধ্যপ্রদেশ’ নিয়েও তো চিন্তার শেষ নেই। তা হলে উপায়? হালকা শরীরচর্চা করতে পারলে ভাল। তবে একান্তই যদি না পারেন, তা হলে ডায়েটই ভরসা। এ ক্ষেত্রে পুষ্টিবিদদের পরামর্শ হল, কম ক্যালোরি যুক্ত খাবার খাওয়া। সাধারণ ডাল-ভাতের পরিমাণ কমিয়ে কয়েকটি সব্জির রস যদি সকালে খাওয়া যায়, তাতেই জব্দ হতে পারে পেটের মেদ।
১) পালং শাক:
পালং শাকের রসে ক্যালোরির পরিমাণ কম। তাই শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমার ভয় নেই। এ ছাড়া, পালংয়ের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। যা বেশ অনেক ক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি রাখে। আর রয়েছে প্রোটিন, বিভিন্ন ধরনের খনিজ। বিপাকক্রিয়া ভাল রাখতে গেলে এই সমস্ত উপাদানই প্রয়োজন।
২) লাউ:
অনেকের অপছন্দ হলেও লাউ ওজন ঝরানোর পক্ষে কার্যকরী। লাউয়ে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি। এ ছাড়াও এই সব্জিতে ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি। ফাইবার যে কোনও খাবার দ্রুত হজম হতে সাহায্য করে। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকলে ওজন কমানোও অনেক সহজ হয়ে যায়। ফাইবার ছাড়াও লাউয়ে প্রোটিন, পটাশিয়াম, মিনারেলসও আছে ভরপুর পরিমাণে। ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় যে উপাদানগুলি অত্যন্ত জরুরি।
৩) শসা:
স্যালাডে শসা তো থাকছেই। তবে বাড়তি সুফল পেতে শসা দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন স্বাস্থ্যকর পানীয়। শসায় জলের পরিমাণ ৯৮ শতাংশ। আর বাড়তি মেদ ঝরাতে শরীরে জলের পরিমাণ পর্যাপ্ত হওয়া জরুরি। শসা হজমশক্তি বাড়ায়। হজমের গোলমাল নিয়ন্ত্রণে থাকলে ওজন ঝরানোও সহজ হয়ে যাবে।