সাধারণত ২০-৪০ বছর বয়সি মানুষের মধ্যে সান বার্নের সমস্যা বেশি দেখা যায়। ছবি: শাটারস্টক।
গরমের সময়ে রোদে বেরোনোর আগে টুকিটাকি ত্বকের যত্ন নিলেও শীতে অনেকের ক্ষেত্রেই সেই বালাই নেই। শীতেও যে সানস্ক্রিন মেখে বেরোতে হয়, সে ধারণাই নেই অনেকের। এই সময়েও অনেকে ‘সান অ্যালার্জি’–তে ভোগেন। বিশেষ করে এ সময়ে যখন ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়ছে, তখন আরও সতর্ক থাকতে হবে। রোদ থেকে আসার পর ত্বকে লাল লাল র্যাশ দেখা দিলে তা ‘সান অ্যালার্জি’ হিসাবে ধরে নেওয়া যেতে পারে। সান অ্যালার্জি ছাড়াও এই সমস্যাকে ফোটোসেনসিটিভ ডিজঅর্ডার অথবা ফোটোডার্মাটোসও বলা হয়।
কিছু ক্ষণ সূর্যের আলোয় থাকার পর আপনার হাত এবং বুকের উপরের অংশে যদি চুলকানি-সহ র্যাশ হয়, তা হলে সম্ভবত আপনার ‘পলিফার্মস লাইট ইরাপশন’ হয়েছে। এক এক জনের শরীরে এই র্যাশ এক এক রকম দেখায় বলে একে পলিফার্মস বলা হয়। সাধারণত ২০-৪০ বছর বয়সি মানুষের মধ্যে এই ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যায়। হাত-পা এবং বুকেই সাধারণত ‘সান অ্যালার্জি’ হয়। এ ক্ষেত্রে অনেক সময়ে ত্বক ফেটে রক্ত বেরোয়। ত্বকে ফোস্কার মতো চাকতি বেরোয়। সারা গায়ে চুলকানি শুরু হয়।
তবে সূর্যের আলো থেকে ত্বক ঢেকে রাখলে এবং সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে সাধারণত এই ধরনের অ্যালার্জির সমস্যা এড়ানো যায়। ‘সান অ্যালার্জি’ বিপজ্জনক নয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঠিক হয়ে যায়।
‘সান অ্যালার্জি’ এড়াবেন কী ভাবে?
১) যতটা সম্ভব রোদে কম বেরোনোর চেষ্টা করুন। খুব দরকার না পড়লে দিনের বেলা বাড়িতেই থাকুন। সব কাজ সন্ধ্যা বা রাতের দিকে মেটানোর চেষ্টা করুন। সেটা সম্ভব না হলে রোদের তাপ যখন বেশি থাকবে, তত ক্ষণ বাড়িতে থাকুন।
ক বার সানস্ক্রিন মেখে বেরিয়ে পড়লে হবে না, ২ থেকে ৩ ঘণ্টা অন্তর অন্তর সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।
২) রোদে বেরোলেও লম্বা হাতা সুতির পোশাক পরুন। মুখ এবং হাতে ভাল করে সানস্ক্রিন মেখে নিতে ভুলবেন না।
৩) ‘সান অ্যালার্জি’ মূলত ভিটামিন ডি-র অভাবে হয়। তাই ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান।
৪) এ সময়ে অত্যধিক মাছ, মাংস, তেল-মশলাদার খাবার বিশেষ খাবেন না। এতে ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যা বাড়তে পারে।
৫) এক বার সানস্ক্রিন মেখে বেরিয়ে পড়লে হবে না। ২ থেকে ৩ ঘণ্টা অন্তর অন্তর সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।